সুতনু হালদার
ট্যাটু আঁকা সন্ধ্যাগুলো
(১)
কুয়াশারা অন্তঃসত্ত্বা হলে
শিথিলতা মুদ্রাদোষের মতো
সঙ্গী নিয়োগে ব্যস্ত হয়ে পড়ে
আকাশের নগ্নতা বুক পর্যন্ত ছুঁতে
সুদর্শনচক্রের
ক্লান্তি-
রোদচটা দুপুরকে চুমু খায়;
অথচ, প্রতিটা
প্রতিষ্ঠানগত রাত
সন্ন্যাসিনী হলেও~
শিকারির হিংস্রতায় ভরপুর
(২)
তিন মহলার বাড়িটা আজ আর নেই!
তবে ঘামের গন্ধ নিপাতনে স্বরসন্ধি
হয়ে
এখনো ঘুরে বেড়াচ্ছে...
পরাগ নিষেকের মতো জলফড়িংয়ের
অবকাশ মাখা যাবতীয় ভুলগুলো
উবে যাওয়া কর্পূরের যাযাবরতাকে
ধরার চেষ্টায় সিঁড়ি ভাঙতে থাকে
(৩)
ঘড়ির দীর্ঘশ্বাস আসলে
প্রান্তরেখাকে
মনে করিয়ে দ্যায় পুরুষ আজীবন
প্রেমিকের স্বরলিপি লেখে,
নারীত্বের নদীপথে কুয়াশার বর্ণালি
(৪)
ঘুমভাঙা স্বরবর্ণগুলো
ব্যঞ্জনবর্ণের নিষ্কাম সহবাসে
ক্লান্ত হয়ে পৃথিবীর ফ্ল্যাজেলীয়
চলনের হিসেবি
জাইগোটটাকে বরাবর সন্দেহের
চোখে দেখে এসেছে বলেই-
মহাকর্ষীয় ত্বরণ শুধুমাত্র ব্যর্থ
হয় অক্ষর-বিন্যাসে...
(৫)
চমকানো মুহূর্তেরা স্থিতিস্থাপকের
ডানায় ভর দিয়ে
কয়েক পা এগিয়ে যায়...
অথচ ট্যাটু আঁকা সন্ধের রূপালী
গন্ধ
যমকের খিদে নিয়ে সমাসোক্তিতে রূপক
খোঁজে!
অ্যানাটমির মুদ্রাদোষ অনশনের
তর্জমায়
নিজেকে মহৎ উপবাসে নিয়োজিত করে;
ডিফল্টার লিস্টে বাড়তে থাকে চশমার
পাওয়ার...
ভূমিক্ষয় আর ব্যক্তিত্ব সমানুপাতিক
;
প্রতিশ্রুতিরা নিহত পারদের
হিমাঙ্ককে বুঝে নেয়