এ কে এম আব্দুল্লাহ
কাগজের চোখ ও নীল পেরেক
মাঝে মাঝে
কয়েক পঙক্তি ভালোবাসা—
এটিএম থেকে ওঠে আসে আমার বুকপকেটে। আর তুমি জড়িয়ে রাখো
আমাকে—
তোমার বুকের উত্তাপমেশিনে।
যেখানে,দেওয়ালহিটারের উষ্ণতা বিলীন হয়ে যায়। আর আমাদের মুখ থেকে
ঝরে পড়া লালায়—
ওড়তে থাকে নতুন নোটের গন্ধ।
এরপর টেবিলের
ওপর রাখা চেকবই থেকে ওঠে আসে লক্ষ লক্ষ
মৌমাছি। আমাদের ঘিরে ধরে ফুলের মতো।আমারা লাল— হলুদ আর
গোলাপি হতে থাকি।
এভাবে রাত
শেষ হয়ে যায়। আর চামড়ার ভাঁজ করা পকেটকোষে পড়ে থাকে— মেয়াদ উত্তির্ণ কিছু পুরুকাগজের ফলক।
জু’মায়িত ল্যান্স ও আমরা
সমুদ্র উঠে
এলে পাহাড়ের উপর অথবা সমুদ্রের উপর আগ্নেয়গিরি; আজকাল অবাক হইনা আর। আজকাল মুখ থেকে জিহ্বারা,হেঁটে হেঁটে যায় স্ব-স্ব ভঙ্গিতে।আর পাখির মতো ডানা মেলে,ওড়ে যায় কথারা।
আজকাল আমাদের
চোখগুলোও আকাশের দিকে চেয়ে থাকতে থাকতে,ভুলে গেছে জলের
রং।
আমাদের
প্রাক্তন ঠিকানাও মনে নেই আর। যেখানে মরে পঁচে গেছে বিগত সংসার।
এখন,তোমাদের কেমেরা ল্যান্সের জু’মে-ই,আমাদের নতুন সংসার।তোমরা,শুধু একটুকরো ঠিকানা দিয়ে যেয়ো।
দাঁড়িয়ে আছি,নামতার ডানা ছুঁয়ে
তোমার ঠোঁটের
লালে ডুবে যাচ্ছে পৃথিবী এবং নাক বেয়ে বেয়ে নেমে যাচ্ছে চুমোর গন্ধ। লালার ভেতরে
নেমে যাচ্ছে পৃথিবীর সিঁড়ি পাতালের দিকে। যেভাবে পাহাড় থেকে নেমে গেছে আদমের
পদচিহ্ন এক রহস্য অরণ্যে। হয়ত সেখান থেকেই আমরা আবার শুরু করব আমাদের নতুন
গল্প। যেখানে আজকাল অনেকেই আসে। কথা বলে
অপারেশন টয়লাইট,
হিটব্যাক কিংবা অপারেশন ম্যাক্সিমাস সহ নানা বিষয় নিয়ে।
কলসি কাকে
যুবতীরাও আসে। কিরণমালা শাড়ির আঁচল কোমরে প্যাচিয়ে ডুবে যাওয়া সিঁড়িতে দাঁড়ায়, জল ভরে। তারা নিজেদের মধ্যে স্ব-ভঙ্গিতে,কথা-বার্তা বলে।আর আমাদের চারপাশে জলের ঢেউ ; সে কথাবার্তা সেইভ করে রাখে তাদের নোটবুক ফোল্ডারে।
এইসব দৃশ্য
ডাউনলোড হয়ে গেলে পেনড্রাইভে—একদিন,পৃথিবী ব্যার্থতার আঁচল গুটিয়ে ঢুকে যায় পুরোনো খাপের ভেতর।
আর গাছের গুড়িতে যেভাবে গজিয়ে ওঠে নতুন গাছ ; আমরাও সেভাবে
গজিয়ে ওঠি জলের ভেতর থেকে—
সঙ্গে নিয়ে আরও এক পৃথিবী নতুন গল্প।