মঙ্গলবার, ২১ মে, ২০১৯

সায়ন্তনী হোড়


সায়ন্তনী হোড়

এবং  স্নানঘর

এক একটা দুপুর কে ভাঁজ করে
শূন্যতাদের খাইয়ে দিলে
  কিছুটা উত্তপ্ত গল্পের অংশ ফিরে পাওয়া যায়

এখন আর ভাট ফুলের গায়ে
সেরকম  ঋতুসন্ধ্যা লেগে থাকে না
সবটুকু ই ব্যাথার উপদেশ ছুঁয়ে থাকে শুধু ,

  স্নান করার আগে মেঘেদের কান্না শুনতে শুনতে
     কখন যেন নিজে ই মেঘ হয়ে যাই

এভাবেই রৌদ্রের স্নানঘর পেরিয়ে এলে
একটা কেঁপে ওঠা আধ্যাত্মিক চুম্বনের পান্ডুলিপি
নিঃসন্দেহে  পড়া যায় . . . ।।


     





কিছু ফেলে আসা নিঃশ্বাস

সূর্যের আলো ভেদ করে ফুটে ওঠে ফুল
জীবনের অন্তরীক্ষের টানে স্মৃতি ভেসে চলে ,
শুধু রসহীন চুম্বকের ন্যায় পড়ে থাকে নিঃস্বতা

একমুঠো রিক্ততা গায়ে মেখে নিই
বোতলে বন্দি থাক অতীতের রাস্তার গলি ,
কিছু  বিক্ষিপ্ত চিন্তা
  তবুও ফুঁ করে উড়িয়ে দিতে ইচ্ছে হয়
এইসব উদ্বাস্তু চিন্তা দের

পরিমিতির অঙ্কে ভুল হয়ে যাওয়া কিছু দূরত্ব
আজও মিশে যাচ্ছে ধমনীর গভীর অরণ্যে ।।

          






সন্ধি বিচ্ছেদ

মূল থেকে উঠে এলে ও প্রতিটা গাছের
কোটরে একটা গোপন পোস্ট অফিস থাকে
যেখানে সন্ধি হওয়ার আগে থেকেই
বিচ্ছেদের গন্ধ লেগে থাকে

অবসাদে ভুগতে থাকা ঘরের কোণার
টেবিলে এখনও সেই তাজা গোলাপের স্তবক
সাজানো থাকে ,
    আর তুমি এসে সেখানে
একগুচ্ছ অভিমান এঁকে দিয়ে যাও

      ঠিক যেন ছালওঠা বসন্তের মতো    ।।

           






বাকি সূত্রেরা

প্রকাশ্যে চুমু খাওয়ার জন্য আজ আর
  ঘনিষ্ঠ হওয়ার দরকার হয় না ,

  একটা দেওয়ালের মাঝ বরাবর
গেঁথে দেওয়া পেরেকের মতো ই  ভীষণ ভাবে
নিজেকে ভেঙে ফেলার ই দরকার হয়

সমুদ্রের  আবছা গালে হঠাৎই
ঢেউ এসে সতর্কতার আঁচড় কেটে দিয়ে যায়
 
তারপর শূন্য আর দশমিকের মধ্যেকার 
পর্দার ফাঁক গলে বেড়িয়ে আসে বছর খানেকের পুরোনো
  নেলপালিশে রাঙানো ব্যাকরণের সূত্ররা ।। 

          






সিঁড়ি আবিষ্কার

প্রতিবার মেঘের জানালা চুরি হয়ে গেলে
আমাদের মধ্যেকার দূরত্ব কে
একটা সংলাপ-হীন আকাশের কাছে বেচে দিই

বেঁচে যাওয়া তরকারির  মধ্যে তেল আর নুনের
     সংসার পাতছি রোজ
  তবুও যেন নুন কম হওয়া টা
     এই হাতের একটা অভ্যাস হয়ে গেছে

তাই আর নতুন করে আমাদের মাঝে
  সিঁড়ি আবিস্কারের কোনো দরকার নেই
কারণ সিঁড়ির বৈকালিক  ধাপগুলো মিথ্যে সন্ধ্যায় ডুবন্ত ।।