লক্ষ্মী কান্ত মণ্ডল
নগ্নতা ঢেকেছি প্রবল খরায়
এক
খড়কুটোর উপর শুয়ে আছে সাপ।
তার নাভিতে নিঃশব্দ সাদাকালো নোলক
নীল ধ্রুবতারার কম্পিত আলোয় স্বচ্ছ
দিগন্তরেখা , এ পর্বে জাগেন সুরের
বিসমিল্লা।
আমার হাতে সপসপে শিশিরের বিন্দুরা
ফুরিয়ে আসা অন্ধকারে সংবেদনশীল -
জেগে ওঠে সারি সারি প্রার্থনা ,
একান্ত চাতকের দেয়াল থেকে শিস্
কুড়িয়ে নিয়ে
রাত্রি পিছিয়ে যাচ্ছে পশ্চিমের দিকে -
দুই
নীল আয়নার ভিতর থেকে বেরিয়ে এলাম
দহন।
কনকনে শীতের মেমব্রেন ছিঁড়তে চায় এই কাল
বেরিয়ে আসে সুখ , এমন
কাঁপন লাগে ত্বকে
কোনোদিন ভাবিনি - এমন সাদা আলগোছের পথ
যেন কোনো কিশোরীর স্বপ্নের ভিতর
অক্ষত তালুরেখা
তারপর কোন আলোর মাঝে কেবল কাজল
জড়ানো
সন্ধেবেলা - ধীরে ধীরে খুলে গেল হরপ্পা সভ্যতার চোখ,
পোড়ানো ললাট,
কাঁটা ও গুল্মের নিঃশব্দ কোরাস
এমন সঞ্চার - আর
দেয়াল থাকল না মোটেই -
তিন
গাছ বললেই আমি তার পথ ছেড়ে
দেব
হতে পারে না এমনটা, হয় না কখনও
আকাশের নিচে পুড়তে থাকা সমস্ত ডানা
খসে পড়ে
দু একটা সহজ জীবনের নাম শুনতে শুনতে
আমার জন্ম কথায় জমে নদী মাতৃক সুখ
আমিতো গাছকে তাড়িয়ে দিয়েছি
তার সরলতায়
আমিতো ছেটে দিয়েছি তার জ্যোৎস্নার
যাতায়াত
এখন আমারই চুলে লেগে আছে তারার আলো
কেমন সময় ফাঁকা হয়ে আসে
চার
কী রকমারি সব রঙ ভেসে আছে চেয়ারে
আমার আর কোন প্রকার রং লাগে না
শুধু খিদে পায় দুপুর বাড়লেই -
হয়ত মানুষের মত আর শ্মশানে তাকাই
না
ফনিমনসার জল শোষন দেখে
আজ খুন হয়ে মানুষ মরে গেছি
সেখানেই আছিতো ভাঙা কলসি মাথায়
তুলসীপাতা
কিছু নেই আর, দুবেলা চুমু নাকি প্রখর গ্রীষ্ম
সেই তো বাতাস যার জোরে কাঁপন লাগাই
গাছে
কেমন বয়স হয়ে যাচ্ছ খাওয়া দাওয়া
শোয়ায় -