ইন্দিরা ব্যানার্জী
মৃত্যু যখন পরিণাম
নামহীন অস্থিরতায় আদ্যপান্ত মুড়ে
যাচ্ছি আমি;
অজানা সংকটের আশাঙ্খায় গা'গোলায়
হাত পোড়ে কারুর আর অন্যের পাত পোরা
পঞ্চব্যঞ্জন;
বঞ্চনা কীভাবে যেন অদৃশ্য পরাগের
মত ছড়িয়ে পড়ে;
ধীরে ধীরে অঙ্কুরিত শোষণের চারা
থেকে বৃক্ষ হয়ে ওঠে ডালপালা মেলে...
গায়ে ঢালা কেরোসিন দেশলাই ঠোকবার
আগেই
ভেতর ভেতর ছাই হয়ে যায়
সৃজন-সুকুমার বৃত্তি-সুহৃদ্যতা
এই পরিণাম চায় না কেউই, তাও
নিত্য ধারা'র অভাবে নদী শোকায়;
আগুনের অভাবে মরে উনুন...
জ্বলে না আলো
সেখানেই দাঁড়িয়ে আছি, তুমি
এবং আমি;
বিচ্ছিন্ন যেন তার কাটা বাল্ব হয়ে
মাথা উঁচু স্তম্ভে
যে যার জায়গায় পা গেঁড়ে;
কোনটা আত্মসম্মান
আর কোনটা একরোখামী
বোঝার ভুলে
সীমানা সব
মাল্টিলেয়ার আইসক্রীমের মত আবছা
হয়ত কিছু চিল,
শকুন সাময়িক সমর্থনে মাথায় বসে,
একাকীত্ব দূরীকরণ;
সব ধান্দাবাজ বোঝ তুমি বুঝি আমিও
তারপরেও যার যার চুল তার তার মাথায়;
শিরদাঁড়া খন্ডিত নয় কারুরই;
এভাবেই পেরিয়ে যাবে একজন্ম
আপনা আপনি ফিউজ উড়ে গেলে আঁধার
ঘোচে কী উপায়...
পড়ে নিও
কারুর নাম নিয়ে শপথ নেবো না
চোখের ভাষা পড়তে জানে না যারা,
ছোঁয়াছুঁয়ি-তিন
সত্যি-দিব্বি-প্রতিশ্রুতির পাহাড়ে
গুহা খুঁজে দেহ রাখে;
একদিন ভরে ভারে ভারাক্রান্ত হয়ে
রসাতলমুখী হবে জেনেশুনেও কথা দেয়
কথা নেয়
শব্দের সুর বদলে যায় স্বার্থ
মিটলেই;
আপন পর, পর
আপন ভিন্ন বৃত্তের পৃথক পরিধি হয়ে
দুই মেরু মুখী যাত্রায় পা বাড়ায়
তেল-নুন-লঙ্কা ডলা আলু ভাতে আর
পান্তার স্বাদে
অভ্যস্থ চাষা প্রাণ সকালের আকাশ
দেখেই বলে দেয়
সারাটা দিনের হাল হকিকত, দিল-তবিয়ত
সামিয়ানা নয় ইমারত গড়েছে এক মন
অন্য মনে;
পারলে পড়ে নিও...