গৌতম কুমার গুপ্ত
নাচ সম্পর্কে
ভালবাসতে পারি
ছুটে যেতে পারি হাজার মাইল
এনে দিতে পারি সহস্র গোলাপ
হাজার পৃথিবীর জ্যোৎস্না কুড়িয়ে
এনে দিতে পারি তোমার আঁচলে
বলে দিতে পারি গোপন কথাটি
গুনে গুনে একশোটা চুমু
খেতে পারি
কিন্তু যদি বলো নাচাবে তা থৈ তা থৈ
তুড়ি মেরে তর্জনী উঁচিয়ে
একটিবার হলেও তা পারবো না
আঙুলের ভাষায় আমিও ফেরাবো
সমস্ত দিনরাত্রির আত্মকথা
সব ভালবাসার মৃত্যুকাহিনী শোনাবো
একদিন
অবশ্যই একদিন
ঈশ্বরীয়
জন্মমৃত্যুর মাঝখানে চুপকথার ঈশ্বর
প্রাণিত বসবাসে দেয় সেবাজল
আমৃত্য পিপাসার আর্তজন
উপাসক হয়ে ফুটে আছে দেবালয়ে
জন্মান্তরে মন্ত্রমুগ্ধ পদাতিক
অমাত্যজন
স্বীয় সারসত্য শাস্ত্র পড়ে
এ পাঠক সাম্য উচ্চারণে বেদভাষায়
সোমরসে মদমত্তা প্রভূত ঐশ্বরিক
আহরণ তুলে রাখি শ্রুতিময়
পূজিত ঈশ্বরে পাপঘ্ন অবকাশ
আজ তবে ধূপ ও যজ্ঞ জ্বেলে
প্রার্থনা পুড়ে যাক সম্মোহিত
জ্ঞানে
আজ নন্দিত বিনোদিত সম্যক চরণে
ফসল
প্রণিপাত তলে থাকি
বট বৃক্ষের সবুজ গান সুউচ্চ মাথা
দৃকপাত আসে না কখনো; ক্ষুরধার
চাহনি
কি ভাবে ব্যক্ত করি পাজামার ভুখা
দিনের শেষে সেই আপদমস্তক প্রণিধান
লেশমাত্র হয় নি উন্নত অবধান
আজ শিয়রে জেগে আছে যে সব
কতিপয় জনরোল,গুঞ্জন
নয়
দ্বেষ গুনে কেউ কেউ ছড়ায় আগুন
খ্যাতনামা তাই চরণে সম্ভব
জড়ো করি প্রণালী সবিশেষ সার
মনে তখন রেখেছি কিশলয় কথা
যদি হয়ে উঠি সারগর্ভ দেবো বারতা
নিশ্চয় দেবে আমাকে কেউ প্রণম্য
কুশলতা
স্মরণিকা
কিছু অভিভূত ইচ্ছে নিয়ে যাই
পুষে রাখা আর্তনাদ করুনা কান্না
ঝরে পড়ে শিশিরের জলরং
মেঘের ভেতরে উপ্ত বৃষ্টি স্মরণে
আসে
অনবরত প্রার্থনায় ভেসে থাকে
বর্ণময় ইচ্ছার বিবিধ
কামনার কোন রঙে যে স্বপ্ন
উজান আনে
জানি না তবু
অভিভূত ইচ্ছে নিয়ে যাই
আনন্দ অবধানে অবহিত হলে
দুঃখনাদ অন্তিমে যায় ক্ষণিক সুগমে
অশ্রুরহিত হোক তবে আজ ইচ্ছে অভিযান
শেফালিকা গান গীত হোক সরগমে
এসো করতল জুড়ে হৃদয় খচিত করি আজ
চিরায়ত
মাটিতে দাঁড়িয়ে পা
বিশ্বাসযোগ্য নখের নির্ভরতায়
আঁচড় কাটার বিভূতি চন্দন
কখনো চমকের ভেতর গর্জে ওঠে জল
দুইয়ে মিশে দ্রবণ হয়
আমি তো নেহাতই আঙুল ছন্দের দ্রাবক
কোন সুলিখিত মুদ্রা নেই হাতের
ইংগিতে
আকাশের সুগন্ধে পরিচিত নক্ষত্ররাজ
দৃশ্যে না এলে মন খারাপের রাত
আবাহন বিসর্জনের ঝুলে থাকা মধ্যমায়
আমার একান্ত দূর্ব্বায় ঝলসে ওঠে
চাঁদ
নিজেকে পার্থিব নিরীক্ষণ করি মাত্র
বিজন বাতাসে ভর দিয়ে আছি এখনো
জল মাটি আকাশের ব্যক্তিগত সোচ্চারে