সুকুমার চৌধুরী
মৃত্যুঞ্জয়
কে যেন গুড়িয়ে দিতে চায় ।
কে যেন পুড়িয়ে দিতে চায় ।
চুর্চুর মৃত্তিকা থেকে উঠে আসি ।
গর্গর অঙ্গার থেকে উঠে আসি ।
মৃত্তিকা থেকে উঠে আসি গাছ ।
অঙ্গার থেকে উঠে আসি নাশ ।
কিছুদিন গাছের মতো বাঁচি ।
কিছুদিন নাশকতায় বাঁচি
যাপন
অসুবিধে হয় জানি । ব্যপ্ত চরাচরে
শুধু
ফনিমনসার উলু ।
কত কাঁটা, সমাজ,
সংস্কার, ভয়
ক্ষোভ, মুল্যবোধ
।
আমার ভালো লাগা মুখোশখানা তুমি নাও
আমাকে দাও তোমারটা । আর এভাবেই
এসো ভুলে যাই পারিপার্শ ।
হয়তো বা ফাঁকি,
তবু এও এক অন্যরকম অভিনয় ।
আপাতসুন্দর ।
এসো শিখে নিই আর
প্রতিবেশীদের মতো রক্তমাংসময়
বেঁচেবর্তে থাকি
শিস্
ইচ্ছেটুকুই সর্বস্য নয় জেনো
মরার পর বাঁচার কথা
আমাকে বলো না
মরে গেলে অচিন পাখি হয়ে
এসে বসবো তোমার দোরে
তুমি দুর দুর করে তাড়িয়ে দেবে
কখনো খুদকুড়ো দেবে
ও সব কি ভালো
তাচ্চেয়ে দুর দুর, খুদকুড়ো,
যা পাওয়ার
সব এই জীবনেই ভালো
আর আসার কথা বলো না আমাকে
মরার পর বাঁচার কথা
আমার ভালো লাগে না
ডোঙরগড় পাতার কুটিরে
জাল বিছিয়ে অপেক্ষা কোরছে লোভ
এখন দুপুরবেলা
ঘুরন্ত আগড় খুলে কলকল বিদেশী বাতাস
চার্মিনারের ধোঁয়া ওড়ে
চলে এসো মুর্খ ভিটামিন
নৈঃশব্দে মিশেছে ঘাম কৌ্মার্যক্রন্দন
এসো চলে এসো ক্ষুধা
হাত ধরো
কোয়াও আঙুর খুলে নিয়ে চলো
আধারেআদিম
তৃষ্ণা থেকে আকন্ঠ মৌ্রিমদের দিকে
শূন্যতা থেকে সম্মোহনে
ঝিমঝিম অসুখ থেকে অনন্ত সুখের দিকে
নিয়ে চলো আমাকে শিকার
মেধা ও মগ্নতা নাও ওষ্ঠ নাও জ্বালা
রক্ত নাও জীবনের হত্যাটিও দেখ
হারাকিরি
বিছানো রয়েছে জাল এসো বসি আর
ছিঁড়ি খুঁড়ি নির্জনতা সুন্দরের
শবদেহ
পৃথিবীশুদ্ধ জেনে যাক কি রকম
দুর্বিনীত
বেঁচে আছি আমিও আমূল
ভ্রমণ
যতটা বিস্ময় ছিলো তোমার দুচোখে
যা তোমাকে ভিখিরি কোরেছে
তুমি তার যোগ্য নও এমত ভেবেছি
বীতস্পৃহ যেটুকু দেখেছো তুমি
সন্দেহসন্ন্যাস
আমি তার যোগ্য ভেবে অবাক হোয়েছো
হায় চুর্ণ অহঙ্কার লঘু বর্ম ভুল
প্রবণতা
শোভন পাল্লায় দুই ভিক্ষাপাত্র দোলে