শুক্রবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০১৮

অমিত পাটোয়ারী


অমিত পাটোয়ারী

ঘরবাড়ি নদী হয়ে গেছে

এ কবিতায় নদী এসে বাজলো ছলাৎ
সেই দু'লাইন ঘাসের ওপর দাঁড়িয়ে আছে
এ কবিতা পানা বনের স্বপ্ন দেখায়
স্বপ্ন দেখবে ? দ্বীপের মধ্যে একলা থাকো।
দশ আঙুলের , কুড়ি আঙুলের গাঙের কাছে
স্থপতি যখন জেনে নেয় নাম
আকাশ কাঁপিয়ে তৈরি করে পঙক্তি সাঁকো।








বাঁধ ভাঙবার পরেপরেই
মানুষ গুলো এদিক ওদিক..... গোরুর মত
ফুড়ুৎ করে উড়ে গেল খাঁচার থেকে
মাটি না মেঘ , তা কে জানে ।
পার হচ্ছে কোথায় একা - অন্ধকারে শববাহিত !

ছলচ্ছলে ঘুম ভাঙলে
দেখতে পেল সে নিজেও
কোথায় যেন তলিয়ে যাচ্ছে , অন্য কোনো অন্ধকারে
এ কোন দেশ সে জানে না
নদীর পারে ? মাঠের পারে ? ঘরের পারে ?









আমি তো ভুলতে বলিনি ওর মাকে
আমি ভুলতে বলিনি ওর গ্রাম
জানি সব ছাপড়া ঘর তুলে থাকে
শুধু আকাশ দেখাতে চেয়েছিলাম

কিন্তু , ঘরবাড়ি নদী হয়ে গেলে
ভাবে জানলায় দাঁড়িয়ে থাকা পাপ
আমার শুকনো মাটিতে ওর মা'
দুই আলতা পায়ের চেনা ছাপ

তাই আমার উঠোনে ওর ভয়
সব ঘর নদী হতে পারে
ভাসতে ভাসতে দশতলা
কোনো এক রবি-সোমবারে...








চোখের জলে জোয়ার লাগে যদি
ঘাটের কাছে নৌকো নয়
আর কোনো কানাকানি নয়
ঘরের ওপর আছড়ে পড়া নদী

চোখের জল শুকিয়ে গেছে
জল ফুটছে , স্বপ্ন দেখছে ভাতে
এতদিন খেয়োখেয়ি - দাঙ্গাবাজি হল
খাচ্ছে এখনও গোগ্রাসে
কাল্পনিক দরজা খুলে খাচ্ছে একসাথে








জলের অভিশাপ যে মানুষ
পুড়িয়ে করলো ছাই ,
তার হাতে ব্রহ্মশীতল। বুক থেকে ছিটকানো রক্তে
সে বানায় আলোর রোশনাই।
তার কাছে ভেসে যাওয়া বেড়া
তার কাছে ভেসে যাওয়া ক্লেদ
সমস্ত পৃথিবীকে সিম্ফোনির সুরে
জুড়ে দেবে একজল হয়ে....

আমি তার স্রোত হয়ে
ধীরে ধীরে তার পিছু যাই।