শুক্রবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০১৮

দেবাশিস মুখোপাধ্যায়


দেবাশিস মুখোপাধ্যায়

দৃশ্যে অদৃশ্যে


পুকুরের কাছে বসে মেয়ে
মেয়ের পায়ে বসে পুকুর
মাছেরা মেয়ে হয়ে গেলে
সেসব মেয়ে মাছ ডিম নিয়ে
পাড়ে বসে চাঁদ দেখে
এতো উজ্জ্বল সেই রূপকথা
যে জানালার চোখ ঝলসে যায়







দীর্ঘ ঈ লাগা ভোর লাগে মায়াকাজলে
অ চেতন সরে গেলে আধার
ধরে নেয় রক্তকমলে
রূপসাগরের ডুব ডানা ভিজিয়ে দিলে
দেখি আকাশ অসীম
তবুও মাস্তুলের হাতছানি
ফিরিয়ে আনে চেনা জাহাজে
হতবাক থেকে বাকের সকাল
ফের ধাক্কা মারে লবণ সৈকতে
নোঙর ওঠার এক জোরালো আওয়াজ
ঘিরে থাকে বন্দর এলাকা







ঘাটের স্নান বধূটিকে ধরে
চোখ কেটে যায় জল
ছায়ার মেঘ না মেঘের ছায়া
সেই কালাচাঁদের গান
দোতারা বাজায় মীনাবাজারে
মীনাক্ষীর পূর্ব প্রেমিক
পাহাড়ের কঠিন পায়ের কাছে
ভাজা মাছ উল্টে ভদকায়
চুমা দেয় বর্ষা বিকেলে
অস্থিসার মেয়েটি সরিয়ে নেয়
কাচের বোতল আর তখন
সহজ সন্ধ্যা নামে নিবিড়
তাকে ডাকে








পাখির ডানার কাছে মেঘ
মেঘের নৌকা জুড়ে পাখি
ভিজে যায় চোখের বিছানা
নিহত বনশ্রীর কথায় কথায়
সেই মরু সংসার সাড়াহীন
মায়াকুসুমের গায়ে মায়াবী
প্রজাপতি নেই শুধু কাঁটাগাছ
চিবাতে চিবাতে রক্ত পড়ে
উটের আর পারি না পারি না
করে সব খাঁচা শূন্য অঙ্কের
বাইরে যেতে পারে না
আর এ কবিতা শুধুই দেয়াললিপি
ভুল অক্ষরের নামাবলী








রাত্রির কান্না টগর রেখেছে শরীরে
অগোছালো ভোরে রেখার মা
ছিঁড়ে নেয় সমস্ত মোহবিলাস
শব্দের ঘোর লাগে পাখিস্কুলে
যেন বর্ষাদিন শুনশান রাস্তায়
উড়ে যায় সাদাসবুজ টপ ও স্কার্ট
ডানার ভিজে কলরোলে
মোরামরাস্তায় নীল গা সাদা পাহাড়
অমল অমল ডাকে সুধা
একার অশ্রু জানে ঘাসের মাঠ
মুসাফির প্রেমিকের চোখ
ভৈরবী রাগ ধরে নিশীথের
ফর্সা বউ তানপুরা মেলে
সে সোমত্ত অক্ষরমালা
ছুঁয়ে হারানো যৌব রাজ্য ফিরে পাই