রবীন বসু
আমাদের গণতন্ত্র : শৃগাল-ধূর্ততা
১
কারা যেন নাগরিক নয়
কারা যেন বাড়তি অতিরিক্ত
দাও কেটে
মুড়িয়ে দাও গোড়াসুদ্ধ
শিকড়ে কিসের দাগ
কত রক্ত ঝরে সংগোপনে
হে মহান ভারতবর্ষ, হে
প্রবীণ নাগরিক জন
দেশ তবে কাকে বলে?
২
আবহ অস্থির আজ
অধৈর্য ক্রমশ বাড়ে
জনরোষ ফেটে পড়ে নিত্যদিন
গণপিটুনি….যুবকের
লাশ…
হিস্টিরিয়া ধরে গ্যাছে মানুষের
বোধে
সংঘবদ্ধ কোন্ মুখ, সুচারু
বিন্যাস
শৃগাল শঠতায় আমাদের সব প্রতিরোধ
সরলতা ভেঙে যায় ডাইনী-ভস্ম ওড়ে
আকাশে l
৩
এ এক অদ্ভুত উড়ান
ডানা নেই, উন্মুক্ত
আকাশ নেই
উদ্দেশ্যবিহীন ভেসে যাওয়া
ডিজিটাল নকশায় ‘মন
কী বাত’—
ফসল নেই, কৃষকের
ঋণ আ-গলা
মহান গণতন্ত্র শৃগাল-ধূর্ততায়
ফন্দি খোঁজে, মুখোশে
মুখ ঢাকে
বেকার যুবক তখন নেশার মাদক তোলে
হাতে l
৪
কী এক ভবিতব্য দোলে
দোলে দেশ ধর্মান্ধ-ভেলায়
গ্রাম-প্রান্তর জুড়ে উন্মাদনা জড়ো
হয়
হিংস্রতা ফালা ফালা করে দিচ্ছে
সহিষ্ণুতা
লাঞ্ছনা নির্বাক হাঁটে
গতিহীন মানুষের যাত্রা
সবই কেমন এলোমেলো ধান্দাবাজ হাওয়া
তবু দেখি সব তীর নির্দিষ্ট
লক্ষ্যের দিকে ছোটে l
৫
সব লক্ষ্য দিশেহারা
প্রতিবাদ প্রতিরোধে মেশে না
বিপরীত দুই ক্রিয়া গা-বাঁচিয়ে চলে
অসীম সহ্য নিয়ে মানুষ আস্তাবলে
ঘোমাচ্ছে এখন
নির্ঘুম ভারতবর্ষ ট্র্যাপিজে খেলা
দেখায়
নেশাতুর মানবতা মিটিং-মিছিল সারে
সম্পর্ক হাত সরায় বিশ্বাসের থেকে
অন্নহীন গণতন্ত্র পরিকল্পনায়
শৃগাল-ধূর্ততা খোঁজে l