রত্নদীপা
দে ঘোষ
আমারে
মজাতে চায়
১৫
লুকিয়ে
ফেলেছি
ঠিক
যেভাবে বিবাহিত প্রেমিক
ভ্রূণ
হত্যা যেভাবে চড়ুইভাতির
কামরা
মিলিয়ে নেওয়া
ঠাকুরদাঘড়ি
।
মেঘফেল
বালিকার মাধ্যমিকবৃষ্টি ।
যেভাবে
ম্যাজিশিয়ান নতুন টুপির ।
পালকটুপি
থেকে । দাঁত ।
পিচ
এবং রোলার ।
যে
স্বরে ডুরেমেঘ পরা । হরিণের । ক্লাস কামাই হরিনার স্কুল ।
চুড়ি
। খনক । যেভাবে বন্দে মাতরম । ইনকিলাবের ।
ইনহেলারের ।
চিড়
বিড়িয়ে । অট্টনাদ ।
চল
ছায়া ,
ঝাঁপ । দিই ঠিক । সে ভাবে ।
পাইলটের
আকাশে উড়ো জাহাজ । যেমন । রণ-পা চড়ে ।
হাঁটে
১৬
পুরনো
ছায়া কখনো
শিয়রে
থাকতে থাকতে । স্বপ্ন কখনো সন্তাপ ।
গায়ে
জমছে স্যারিডন ।
যদিও
হয়ে এলো । যদিও ফরসা দেখাবার ।
কেউ
নেই । মাইগ্রেন ।
খিদে
শুধু
বা
খিদের মত । অন্য কোন ভূখণ্ড
যা
কেবল । খাবারের জন্যে বায়না । করে । তিষ্ঠোতে দ্যায় । না ।
মুচলেকায় । আলো আর ছায়া ।
তেল
আর বাঁশমাখা । পেছল-পা । হু – হু ।
মাঝে
মাঝে মধুরম জিন্দেগী
এক
রাউন্ড থ বনে যায়
১৭
ছায়া
মরে যায় মানুষের আগে
ছায়াদের
গন্ধ ঝরে যায় মানুষের জ্বরে
কেনো
জানো ?
মানুষের
পাঠানো অতখানি খাদান । নিরুদ্দিষ্টের দিকে । উড়ে যাওয়া ।
ছায়া
বইতে । পারে না ।
গৃহপালিত
। খাঁ খাঁ । জলে ভাসানো । বাতাসের দেওয়াল
।
নগ্ন
দেহে ঘি । মাখানো । ইন্ধনের শিখা । পাপবোধ । ডায়াল ।
আঁচে
ফুলে ওঠা । চারপাশ । তাপে গলে যাওয়া দোঁহা ।
দেহ ।
ঝুলে
থাকা । লবনের ঘুন । ঘাম । সরহদ । শরীরী টীকা ।
ছায়া
। কইতে পারে । না ।
১৮
টলটলে
এই কুণ্ড টপকে । পৌঁছব কোথায় । কোথায় পানি দুয়েক অপ্সরা । শ্রুতি আর নন্দন । লম্বা লম্বা শ্বাসের আকর্ষ
।
শব্দনা
। কোরে হেসে ওঠো । পোষ মানো জল লোহা আগুন
।
দীর্ঘনাট্যের
শেষসিনে । নববর্ষের পরমায়ু মুহূর্তে । দেখতে পাও আগ্নেয় সিনেওয়ালা । প্রতিমায় উঁচু । কাগজের ফ্ল্যাশব্যাক ।
দ্যাখো কী ভাবে গুঞ্জন গজায় । শোনো । কী
ভাবে মাত্রাদীর্ঘ গান শুনে ।
একটি
ব্যালডের স্যালাইভা । থেমে যাচ্ছে । যায় ।
১৯
শিষের
ছিটে । ঘুমন্ত মুখে । তাপসী নদীর ভিটে
নাকি । আজ । বাড়ি ফিরছে তাড়াতাড়ি । সবুজ শ্যামল অগ্রহায়ন । এখন মাস । গ্রামে শহরে
রেশমের ঝালর ।
এমনকি
রঙের । তৃতীয় স্থলপদ্ম । গোটা বারো ।
বিসমিল্লা
এই দ্যাখো । সানাই ত্রয়ী । ঝরঝরে প্রণাম ।
স্তবক
পান্নায় । মাটির দেউলিয় বাউল । কাকে ফোটাবার জন্যেই এই । সৌরজ্বর । জ্বর কমাতে । পৃথিবী । কোন ওষুধের জিভ ।
স্বাদ পেতে চাইছে । কার অসুখের ।
প্রতিটি
দেবালয় । কার ছায়া পেতেই তরুনীলাল ।
অসীমকাল
। বন্ধাত্যের মহাল্লায় । ভেসে উঠছে । পর্যটন ।
২০
এক
ছায়া থেকে । অন্য ছায়ারপ্ত করার । জন্যে ।
তপ্ত
হতে । হয় বোধের পৃথিবীতে । এসে আরও কিছুদিন । থাকতে ।
স্পর্শ
। প্রসূতির রক্ত । মাংস আর চর্বি ।
মৃদু
হয়ে আসা গঠনের । বাসার । নির্মাণ । গায়ে
মাখতে হয় ।
পলিমাটি
কী রকম ভাবে । যেন রূপ । অরূপও পায় বহু হাজার । ওমের নির্যাস থেকে । তৈরি যে
অন্তিম । তার বিপন্ন নক্সায় ।
আমার
হাতে । পরিত্যক্ত আরেকটি খড়িচিহ্নিত । আমি । আমাকে ।
পৌঁছে
দিই । লাভাবরফ । আর অন্ত্যেষ্টি ।