দেবযানী বসু
আওয়ারা রাখী
পালকে জাহাজডুবির স্মৃতি। ঝরাতে
গেলে বেওয়ারিশ পেয়ারা গাছের আপত্তি। তাল তাল কান্না। একদল কাকের নিয়ন্ত্রণে
শহরের উপকথা। পাহাড়ের রঙজমানো স্নায়ুর দেওয়াল পথের দেওয়াল আমাদের। পলাতকা
মায়ের বুড়ো আঙুলটুকু সামুদ্রিক পাখিরা পেয়েছে। লোভ ছাড়া বাঁচবো না। কঠিন গোপন
লোভ দাও স্মৃতি আমাকে।ক্ষতের ব্যান্ডেজ আমাদের রূপক উপমা অলংকার।
মোটাসোটা আজাদি
কোমরের বেল্টে উচ্চ মরণ ও
ত্বরণশীল আনুগত্য। বাহ্যে প্রস্রাবজ্ঞান
বিভোর করছে ঝিকমিক পাথর। পাথরের পরমান্ন স্রোত। দু পেয়ে টাকার পায়ে ফাঁক ফোঁকর
প্রচুর। জগদ্ধাত্রী কবিতা ক্যামেরার উত্তল অবতল দুটোই খায়। খেলা পুলিশে পুলিশে
হলেও একজন চোর সেজে থাকে। শাকুনিক নক্ষত্রে ডানা মেলে বসি। ফুলের বিদ্রোহে জ্বলে
যাচ্ছে মন্দির। আজাদি কখনো মারে মোটাসোটা দাঁও।
বেলিডান্স ও বেলপেপার
ঘরবাড়ির হাড় মাংস সারাদিন
সাদাকালো। গর্ত খুঁজে পাওয়া শনশনিয়ে মারছে। পৃথিবীর ওজোন স্তর সতীচ্ছদের মতো
অনভববেদ্য। বেলিডান্সের আদিকথা নদী ও পাহাড় ভেঙে এসেছে শহরে। বেলপেপারের টুং বসে
কাঁকনে। গানে গানে অশ্রুর মরীচিকা গালের ওপর। সুদে সুদে বেড়ে যায় আর্দ্রতা।
দোলনগ্ৰাহ্য ভুঁড়ির করপ্রথা বা পিছনপায়ে হাঁটা সবই সম্ভব। অসম্ভবও বটে।
একলা রাখীপথ
রোদ ও প্রতিশোধ লেখা বিছানা।হাড়ে
হাড়ে দুব্বোমায়ার বন্ধুত্ব। গেরিলা কৌশলে টেপা শাটার। শেষ কবে যেন উঠেছিল আঙুলে
ঘী?
কোন হাড় শরীরের হাতির দাঁত হল? হস্তিনী ফাটল
খোঁজে হাড়। কিছুটা উদ্ধার করি।বাকি শরীর বাইরেরও বাইরে পড়ে থাকে। রাখা থাকে
সবকিছু। রাখা থাকে তাকিয়ার রঙচঙে জানু। সার্ফ এক্সেল এর দুঃখিত ফেনা। সোফা-ই
-কবর। পথিক হবার দৃষ্টান্ত না হই যদি ভোলাপথ মিলে ষড়যন্ত্র তৈরি করবে।
আওয়ারা ঝুলন
শাড়ির দলবৃত্ত স্বভাব। আওয়ারা
ওড়না। হৈ হৈ রান্না পোড়া। গোধূলির সিপিয়া আবেদন। সামান্য লজ্জা। তাই ভর করে
উড়ে যাওয়া। ঝিঁঝিঁডাকা আবহ নিজেকে ভালোবাসার সময়ে। ঝিঁঝিঁরা একে অন্যের হাঁটু
ঘষে দেয়। জলবৃত্ত স্বভাব আমার। বাওয়ালি। পেটের ভাত চেনে গুপ্তচর। কষ্টে থাকাটা
যথেষ্ট গল্প সাজাতে পারে নি। সাজাও মকুব। পুরস্কারও নেই। আমারই মৃতদেহ। খইছড়া
নিজে দিয়ে যাই।