বিকাশ চন্দ
প্রযত্নে: প্রসন্ন পৃথিবী
প্রশ্নহীন অদৃশ্য
কথায় কেঁপে ওঠে জল মাটি আকাশ
কত দিন বেঁচে থাকার
হিসেব লিখছে অজানা বাতাস
যে যার হেঁটেছি
পরস্পর হাসি খুশি সানন্দ সংলাপে
পায়ে পায়ে অধরা ধারণ
প্রবৃত্তির রীপু রোগ লালসা
এখন নিয়মিত বিষাদ
রোগে বেহিসেবী মৃত্যু বীভৎসতা
সর্বস্ব হারানো
মানুষ ও ঘুমায় নিম পাতার ডালের তলায়
অজানা চিঠি এসেছিল
মানুষের ঠিকানায় তিনটি কালো অক্ষরে
পুষ্প দলবৃত্তের
আড়ালে দেখেনি কেউ বিষাক্ত সংহার কাঠামো।
সকল চেনা হাত করজোড়ে
পঞ্জরাস্থি ছুঁয়ে বিশুষ্ক ভয়ার্ত চোখ
কেউ বলে না চল দিয়ে
আসি তোর স্বদেশের নিজস্ব ঘর
সসাগরা সমতল ঘিরে
জলের অতলান্ত উল্লাস এখন
সমস্ত শরীর বড়
স্নেহময় গড়িয়ে চলে নির্বান্ধব পিণ্ড সর্বত্র
হঠাৎই উড়ে যায় কাক
বদ্ধ গলায় কথাহীন কোকিল
বসন্ত বৌরি ডেকে যায়
যদি কিছু প্রতিদান বাতাসে মিলায়
চেহারাহীন বীভৎস
তিনটি অক্ষর ছুটে বেড়ায় বিশ্বময়
ভয়েরা গড়িয়ে যায় পাক
খায় মানুষের সকল সংসারে
আহারে সকালের
সূর্যের ভোর সবুজের আঁচলে ঢাকা মুখ
এ সময়ের চিঠিটা উড়ে
যাচ্ছে আদরে সাদা পায়রার ঠোঁটে
প্রতি দেশের মানুষের
দেশে--- প্রযত্নেঃ প্রসন্ন পৃথিবী !!!