জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়
মুক্তি
চৈত্রের পাতাঝরা
মধ্যবেলা কোমলরোদের কঠোর ভ্রূকুটি
খুলে যায় যত
প্রসাধন পোশাক আর গ্রন্থিময় স্থাপত্য-ভাস্কর্য
বিরক্তিপ্রখর
দাহনবেলা তাপমুছে হিমগন্ধ নাভিমূলে ভয়ের
কম্পন
প্রক্ষোভছত্রাক ছিঁড়েছে সব ভ্রান্ত আবরণ অনৃতশপথ
বলেছিল কতবার আর
নয় কোনও হননকাব্য প্রবৃত্তিরা গুটিয়ে নেয়
সব ডাল চক্রব্যূহ
ভাঙে সপ্তরথীতেজ গড়ানো নালায় হাইড্রার মতো
দুর্জয় ধুতরোর মূল
কাণ্ড বা পাতার বিষ অণুরাক্ষসের পাকদণ্ডীর প্যাঁচ
শুশ্রূষাগন্ধ
পায়নি ঘ্রাণকোশ কতদিন খুশিরং মাখেনি দুচোখ
কোকুনগুহায় বাঁচা
জলহীন মাছঘুম অযুতপ্রহর অতুলসাম্য
চমৎকার তত্ত্বহীন
বিক্ষোভ আবর্জনার তাচ্ছিল্যগাঁথা ক্রন্দনভূমি
মৃত্যু নামে সেই
অদ্ভুত মন্থনের কালকূটবেলা পার হয় লুব্ধচোখ
অমৃত উত্থান আবরণ
ভাঙা গান দ্যাখো ওই উল্লাসঝড়
লালমেঘ ঠেলে
স্নিগ্ধ হাসির অরুণরাগে আবার উজ্জ্বল
জেগে ওঠে ওই
জীবনছুঁয়ে মৃত্যঞ্জয় হাসি।