স্বপন
গায়েন
উৎসবের অরন্ধন
শিউলি ফুলের সাদা
রঙ ছুঁয়েছে মেঘলা আকাশ
আগমনী গানে ভেসে
ওঠে উৎসবের অরন্ধন –
বিকেলের বিষণ্ণ
আলো আজ বেশী উজ্জ্বল
শরৎ মেঘের
দুষ্টুমি ভরা মিষ্টি চোখ।
দিগন্ত জুড়ে কাশ
ফুলের হিল্লোল
পেঁজা পেঁজা
তুলোর মত মেঘ
অলস ভাবে ভেসে
যায় নীলাকাশে
শিউলি গন্ধে
মাতোয়ারা আকাশ বাতাস।
প্রেমিকার হাতে
স্পর্শ মাখা অঙ্গীকার
এই শরতে বাঁধবে
সুখের ঘর -
কুমোরটলি ব্যস্ত
এখন মায়ের রণসজ্জায়
সাজিয়ে দেবে দশটি
হাতে অসুর বধের সজ্জায়।
ডুবে গেছে চাঁদ
ভোরের আকাশে
ক্লান্ত শুকতারা
নিভু নিভু ...
স্বপ্ন চোখে তাকায়
কিশোরী
শরীর জুড়ে যেন
তার দুর্গা মায়ের রূপ।।
আগমনী গান
শরৎ আকাশ নেই
অবকাশ
আসছে পুজোর দিন
আগমনী গান সুরেলা
প্রভাত
হৃদয়ে খুশির বীণ!
পেঁজাতুলো মেঘ
আকাশে ভাসে
শিউলি কুড়নো ভোর
পুজোর গন্ধ
আকাশে বাতাসে
দিওনা হৃদয়ে দোর!
উদাস বাউল গাইছে
গান
দিগন্তে কাশের মেলা
একতারা হাতে বাউল
পথিক
সূর্য ডোবার পালা!
জ্যোৎস্না আলো
ঝিকিমিকি তারা
হৃদয়ে মধুর সুর
বালুচর জুড়ে
মায়াময় খেলা
পুজোর নেইতো দূর!
দুয়ার খোলো এসেছে
বন্ধু
ভুলেছ তোমার কাজ
শিশির ভেজা
স্নিগ্ধ আলোয়
মরমী বধূর লাজ!
আগমনী গান হয়েছে
শুরু
শিউলি ছড়ানো পথ
মা আসছেন স্বর্গ
হতে
ঐতো স্বর্ণ রথ!
মায়ের আগমন
আশ্বিনের
প্রারম্ভেও চৈত্রের দাবদাহ
তীব্র দহনে জ্বলে
যায সারা শরীর
এখনও শরৎ আকাশে
হিমের পরশ নেই
নেই ভোরের হাওয়ায়
হিমেল বাতাস।
শারদ উৎসবের নেই
আর দেরি
আর কয়েকটা দিন
পরেই মায়ের আগমন
চূড়ান্ত
প্রস্তুতি প্রতিটি পুজো প্যান্ডেলে –
উপচে পড়া ভিড়
শপিংমল থেকে ফুটপাত।
জীবন থেমে থাকে
না সব মানুষের
দিগন্ত জুড়ে
শুধুই সাদা কাশফুলের মেলা
প্রকৃতি যেন
খুশিতে পাগলপারা –
জীবনের জয়গানে
মুখরিত আকাশ বাতাস।
ধানের চারাগুলো
ক্রমশ হয়েছে গর্ভবতী
পুজোর পরেই
সোনালী ধানে ভরে যাবে মাঠ
কৃষকের মুখে
ফুটবে উজ্জ্বল হাসি –
মায়ের কৃপায় সবাই
মেতে উঠুক উৎসবে।।