গৌতম কুমার গুপ্ত
রু মা ল
রুমালে রেখেছি গৃহস্থালী সুখ
আতর ঝোলে দিব্য সূতোয়
থোড়াই কেয়ার
আমি তো তার বুনন জানি
চাঁদ ঢেকেছে ইহলোক
আমার জীবিতে জিভের শঙ্কা
বর্ষা যদি না ফোটে মেঘে
বৃথাই আঁকো আল্পনা উঠোনে
তবে এখনও রয়েছি গতিবেগে
প্রহরে প্রহরে চারপেয়ে ডাক
আমার প্রার্থনা আমার করুণা
কে যেন লেখায় অবিশ্বাস
তবে চাগাড়ে রেখেছি আনমনা
ক্রম
ক্রমের পেছনে হেঁটে চলেছে তামাম
যে যার লাইনে উন্মুখ শবরী
ক্রমান্বয়ে চিবুকে নেমে আসে
অন্ধকার
মুখ ঘুঁজে উটের গ্রীবা খুঁজে চলেছে
বালি ভাস্কর্যের প্রাগৈতিহাসিক
সকাল সন্ধ্যায় ঘড়ির ক্রমিক
সন্নিপাতে
বেজে চলেছে প্রত্যহ সাময়িক
আমাদের ঐহিক কার্য বহুপ্রচলিত আজ
ক্রমান্বয়ে এক থেকে একশো
কেবল ক্রমের পেছনে দৌড়ে যাচ্ছে
জ্ঞানগর্ভ ময়ূর প্রবীণ পাঁতিহাসও
শ্বাসফুল
মাঝে মাঝে নিজেকে ছুঁই
দেখি স্পর্শ আছে কিনা
তড়িতাহত নেই তবে
জেগে আছে শিরা ওঠা শিকড়
ভিন্ন মাটির প্রলেপ
পাঁজরের বিষণ্ণ প্রশাখা
এখানে ওখানে রাখি মনের হদিশ
ডালপালা যদিও পত্রহীন
মাংস গেঁথে দিই যেন দক্ষ শল্যবিদ
যেখানে পাথর হনু গাল প্রেত হাড়গোড়
কোথাও আলো নেই অঁধারের বারোমাস
তবু খুঁজে দেখি
সেই মৃত্যুটা বিঁধে আছে যদি
গেঁথে দেবো আরো কিছুকাল
জীবনের শ্বাসফুল