শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০১৯

রবিন বনিক


রবিন বনিক

মৃত্যু পরবর্তীকোনো হেমন্তের আলো

দেয়ালে ঝুলন্ত বোর্ড
আপনি আমার একনিষ্ঠ ক্ষিদে
এখানে স্বযত্নে পালন করা হয় অলৌকিক ক্ষিদে
দরজায় টোকা, খুলে গেল, এক অদ্ভূত অরণ্য
যেন মৃত্যু পরবর্তী কোনো হেমন্তের আলো
স্বযত্নশব্দটি সুখি হাওয়ার মতো বয়ে গেল শরীর জুড়ে
এক জীবন্ত স্বপ্ন ক্রমশ হেঁটে এলো শিরার কাছে

আমরা একে একে ছুটে গেলাম ঐতিহাসিক রাজার ঘোড়ায়
আমরা একে একে ডুবে গেলাম এক চরম দুর্ভিক্ষের জলে
হারিয়ে গেল আমাদের এক শতাব্দীর ক্ষিদে

এক সাদা কালো জ্যোৎস্নার মুখোমুখি জেগে উঠলো দেহ
যে যার আয়ু বিক্রি করে ফিরে গেলাম অন্য এক দুর্ভিক্ষে








কে আপনি

আপনার প্রতিটা শব্দ ঘুমন্ত শিশুর মতো মনে হয়
আপনার প্রত্যেকটা রূপকে শুয়ে আছে ছিদ্র ছিদ্র শিশু
আপনার প্রত্যেকটা পঙক্তি যেন সর্বভুক শিশুর হাত
আপনার প্রত্যেকটা ভাব মাতৃহীন  উৎফুল্ল শিশুর পা
আপনার প্রত্যেকটা হাইফেনে ঝুল খায় পিতৃহীন শিশুর ফুটপাত
আপনার প্রত্যেকটা কবিতা যেন সারিবদ্ধ ঝুপড়ির চোখ।







লাবণ্য

লাবণ্য,আমার এক প্রাগৈতিহাসিক মৃত্যুর নাম
লাবণ্য, আমার চোখহীন এক নিদারুণ ছায়ার অন্তর্বাস
ঘ্রাণ, সে তো  পাপবিদ্ধ লাবণ্যর আজীবন দেহাবশেষ
দৃশ্য,  সে এক ঘৃণ্য কঙ্কাল যা  লাবণ্যর হাওয়ায় ভেসে বেড়ায়
আর
প্রেম, সে যে লাবণ্যর জীবন আমার দেহ মিলে গড়া ওঠা এক
অন্তিম জীবাশ্ম।