আবু
রাইহান
হে বিষন্ন প্রিয়তমা
আমি জানি
স্পর্শের অনুভূতি পেলে
মুছে যাবে তোমার
সব আত্মদহন
হে আমার অভিমানী
তৃষিত প্রিয়তমা
এবার মুছে ফেলো
বিষণ্ণ গোধূলির আবরণ.
মিলনের
সন্ধিক্ষণের জন্য লিখে রাখো
মায়াময় আত্মকথন
মায়াবী আলোর
শরীরে মিশে যাবো
যখন দুজন .
যেন জেগে ওঠে তখন
,
স্বপ্নময়
ভালবাসার
অনুভব চিরন্তন.
পক্ষী দম্পতির
শরীরী উত্তাপে
পুড়ে যাওয়া দেখে
তুমি কেন এত
বিমর্ষ ,
উতলা
মিলনের আকাঙ্খায়
আরেকটু
অপেক্ষায় থাকো
হে প্রিয়তমা
আকাশ মেখলা .
শুধু আমার জন্য
গচ্ছিত রাখো
তোমার রোমাঞ্চিত
উপকূল
অবগাহনের
অঞ্জলিতে
মুছে দিতে চাই
প্রিয়
সিদ্ধান্তহীনতার ভুল.
সান্ত্বনার চাদর
হে প্রিয়তমা
তোমার শরীর আমার
রমণীয় ফুলের মালা
আমি নেড়েচেড়ে
দেখি
আর নিবিড়
আলিঙ্গনে নিবিষ্ট হয়ে যাই.
তুমি ছাড়া
আর কোন মায়াময়
আলিঙ্গন লিপ্সা
আমার শরীরকে এমন
একাগ্রতায়
নিমজ্জিত করে না.
তোমার রমণীয়
আগুনে
নিঃশেষ হয়ে
দিয়ে যেতে চাই
আজন্ম লালিত
সম্ভোগের স্বাদ
যা তোমাকে তৃপ্ত
করে .
হায় প্রিয়
তোমার সান্নিধ্যে এলেই কেবল জেগে ওঠে
কামাত্মার প্রবল জ্বর
তোমার লালায়িত
কামনার ঢালেই খুঁজে পাই আমার
কাঙ্খিত
সান্ত্বনার চাদর.
ভালোবাসার উঠোন
আমার মনের উঠোন
জুড়ে এখন
কেবল ভালোবাসার
প্রবল বৃষ্টিপাত !
রোমাঞ্চিত উপকূল
পেরিয়ে বাকি জীবন
সিক্ত হতে চাই ,যেখানে আজন্মের গিরিখাত!
বসন্ত বাতাস
আমার আজন্ম লালিত
মায়াময় কামনার
লালায়িত ঢাল
স্বহস্তে
উন্মুক্ত করে দেখালে আমাকে
তুমি কাল!
শরীরের সমস্ত
রক্ত কণিকায় ছড়ালো
মুগ্ধতার রেশ
রাত্রির প্রহর
জুড়ে কেবল রমণীয় আবেশ!
দূরাগত স্বপ্নের
মত ভালবাসার আকাশে
অপার্থিব অনুভূতি
আসে বসন্ত বাতাসে!
তৃষ্ণার্ত তট
অন্ধকার গায়ে
মেখে শুয়ে আছে অভিমানী নারী
প্রতিদিন নৈশ
আদরের তৃপ্তিহীনতা ঢেকে রাখে
রং বাহারি
শাড়ি,
অসুখী মনের জমাট
মেঘের কথা জানে
কেবল চার দেওয়ালের বাড়ি!
সেই নারী শুয়ে
জানালার দিকে মুখ করে কাত
দুপুরে
কাঁদিয়েছে তার প্রিয় জন, এখন মধ্যরাত!
স্মার্টফোনের
অলৌকিক আলোয় মুছে যাচ্ছে
মুখমণ্ডলের সমস্ত বিষাদ,
ফেসবুকের মায়াবী
দুনিয়ায় বিনিদ্র রাত্রিতে
তৃষ্ণার্ত নারী
খুঁজে পেয়েছে, কামনা জারিত
বেঁচে থাকার রমণীয় আস্বাদ!
হায়,
অমাবস্যার অন্ধকারে বিলীন
প্রিয় জ্যোৎস্না প্লাবিত
সুদিন!