নাসির ওয়াদেন
পূর্ণিমা রাতে
নদী পোড়া ছাই মাখছে তার জলস্রোত
জোছনা লেগে আছে রাতের পাতায়
মধ্য রাতের শিশিরে জীবনের খেয়াঘাটে
ফেরি করে বেড়ায় জীবনপণ্য
জীবিকা
কতদিন পুড়বে অমাবস্যা অন্ধকারে
নিষ্ঠুরতা জীবনের কাছে মুখ ঢাকে
রাত্রি অনেক হলো, এবার
বিশ্রামে
কত যে রাতপরীদের ডানা ছাঁটে
বিষন্নতার ছায়া ঢাকতে সেই নিষিদ্ধ
বাজনা
আলখাল্লা আর নাচে না নূপুরের পায়ে
অনাস্বাদিত চাঁদ উঁকি দিচ্ছে শৈশব
আলোয়
অনেক রাত হলো ,পূর্ণিমা
ঘুমোতে যাও,,,,
সর্পিনী-বউ
নিরামিষ আর দহন বিষের ছোবল
খেতে খেতে বিবমিষা, হোক
জ্বালা
পঞ্চ পহর জুড়ে যাতনা হয় কেবল
জীবন জড়িয়ে থাকে, এ
এক লীলা
রাত্রি এসে পরশ ছুঁইয়ে শান্ত করে
তবুও সর্পিনীর ছোঁয়া আদর মাখা
শূন্য জীবন পূর্ণ করে রাত গভীরে
অসহায় মন হারিয়ে যায়,একরোখা
তার চাওয়াতেও জড়িয়ে আছে সত্যটা
মিথ্যে বলে এড়িয়ে যাওয়া ভ্রান্ত-রে
যাচ্ছে কমে মনুষ্যত্ব,তার
ঠিক অর্থটা
বুঝতে বাকি, পুড়ছি
জীবন অঙ্গারে
সর্পিনী-বউ আদর করে বিষ ঢেলে
জ্বালায় আছে যন্ত্রণা আর ভালবাসা
বিভেদ কাছে আনছে টেনে যাই ভুলে
তার ছোঁয়াতেই আছি বেঁচে,দিলখাসা
আশ্বিনে আগমনী
বিকালের ফুড়ুৎ করে উড়ে গেল
বগলের ফাঁকে
তুমি কার অপেক্ষায় সন্ধ্যা?
একটা গান গেয়ে শোনান রাত পাখি
মুক্তির গান, ভালবাসার
গান
সারারাত ধরে ভিজেছি
অন্নপূর্ণার সাথে বেশী না ভিজিয়ে
শুক্লপক্ষের চাঁদ আকাশের বুক জড়িয়ে
ভাসে আগমনীর আগমনে
ময়ূরের নাচ শেষ
বিদায়ের ডাক হেমন্তের বাগানে ।
সার্টিনের জামা জিন্সের চাপা গন্ধে
হাঁফ ছেড়ে বাঁচি
নারী শক্তির উদয় হোক হাভাতেদের কব্জিতে
ঝিরঝির বৃষ্টির ভেতর শুনতে পাই
এক টুকরো হাসি উড়ছে
আর
অসভ্য পুঁজির হাতে লাস্যময়ী তরবারি
মিথ্যেকে বাঁচাতে সত্যের কতবার
বলিদান?
আশ্বিনে আগমনী দশ হাতে অশুভ বিনাশী
এবার প্রভাতে বাড়ির চড়ুইটি গজল
গাইছে
বিসমিল্লাহ সেরা গায়িকা
ভোরের আগেই সূর্যোদয়ের আলো দিগন্তের ম্যাপ আঁকছে ।