মৌ মধুবন্তী
কালযন্ত্রণা
মিলাও মিলাতে জীবন যেখানে
স্বনির্ভর
চোখের ভেতরে চোখের রোষ দারুণ প্রখর
সাধারণ মানব অতিশয় দানব চিন্তার
অবিকলে
কি বিভৎস রূপ প্রকাশ করে
বন্ধুত্বের ছলে
আমি পারিজাত পাখি চিৎকার করে ডাকি
একটি কথা শোনো, মানবাধিকার
রাখি
আত্মত্যাগের মহিমায় গৌরব কোথাও নাই
আত্মার সাথে বেঁধেও দুর্বলতায় পাই
ঠাঁই
নাগরিকবিদ, কুমীর
কিংবা উদ্ভিদ সম্ভাবনা
একরোখা টান দিয়ে বলি, নাই
কোন ক্ষমা।
ভেতরে করে চুরচুর, বাইরে
বাজিয়ে দামামা
অর্ধ উলঙ্গ চিত্রপ্রদর্শনী জনতার
সাথে তামাশা
দুবেলা দুদিকে চৈত্রের দুপুর ছিন্ন
ভিন্ন লাশ
পুড়ে যাই নির্মম চিত্তবিনোদনে নেই
অধিবাস।
নির্মূল করে দাও, আদিবাস
অভ্যাস সমুন্নত সকাল
চরাচরে গাংচিল, আকাশে
উড়ছে কাহিনী,
সামাল সামাল।
নিঃশব্দ নীল নকশা
মৃত জোৎস্নার ভেতর ঘুম শংখ বাজে
নৈশব্দের সুরে। এতোটা জাগাবে বন্দর
ভাবেনি ঢেউ আগে। জাগবে না কথা
নাচবে না পাখা, উড়বে
না পা, সবে
বহুধা পুস্প নিয়ে ওরা যাচ্ছিল ঘাটে
পিছলে পড়া পা উর্ধ্মুখে ছুটিয়ে।
নেইল পলিশ তখনও তার রঙের কথাই
ভাবছে। এতো নীল ছিল যে রঙ, তার
উপর কিসের প্রলেপ পড়েছে;
অন্ধকার মুখ করে, এর
ওর কাছে কথা
বিক্রি করে , নিয়ন্ত্রিত
সমাজ থেকে সরে
ওরা প্রতি পদে কাঁটা তার, সীমানা
ও ভুগোল
ওদের আত্মপ্রত্যয়ের ব্যাকরণ ভুল ।
অতপর-
জ্যোৎস্না গলে গলে দুধ সাদা
পদাবলি---
স্বপ্নের কাল ছিল লখিন্দরের বুকের
পাজরে গোঁজা
কাল মৃগয়ার সাথে ছিল কিছু সন্ধি; অথচ
বিচ্ছেদ
সেখানে যতি চিহ্ন টানে
----------------------------
নিঃশব্দ নীল নকশা আঁকে!!!
চার্বাক বোধ
আমাদের চারিদিক সুক্ষ্ম বোতামহীন
বাতিঘর, অন্ধকার
বোধের ভেতর পেঁচিয়ে
থাকা কিউপিড ডান হাত থেকে ফেলে দেয়
ভাব, বাম হাত থেকে ভাবালুতা ; অভিশপ্ত
মকরক্রান্তি হিসাবের দানব রতিক্রিয়ায় মগ্ন হয়।
আকাশের পিঠ চিরে দেয় মেঘ; ধারাল
নখ থেকে ঝরে বৃষ্টি। একদিন ভিজে
যাবে
আমাদের চৈতন্য দিন সোহাগে ও
কামোদগিরির
সেবন্তী লাভায়।
ভুলেও জানবে না ভুলবান সমাজপতি!
ভুলেও মহাজাগতিক বিদ্ব্যাবানদের
সামনে মুখ খোলেনা।ভুলে যাও।
বোতাম এখন গৃহস্থালির কাজে ব্যস্ত।
চার্বাক ধ্যানমগ্ন।
আকাশের হিসাবের সাথে জীবনের
গ্রন্থি
বাঁধা পড়ে না। এই দূরত্ব একদিন
ঘুচবেই
শুধু সময়ের নাভিতে মুখ লুকিয়ে সমাজ
টিকিয়ে রাখি। একদিন আমরাও বিদ্যাপতি,
সমাজপতি। ওসব কথা বাদ দিয়ে
অন্ধকারের
অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া হোক আজ সকালের
প্রথম কাজ ।