শ্রীপর্ণা গঙ্গোপাধ্যায়
তিস্তা
হীরকচূর্ণরাশি ধরে করতলে
জল বলে ,
'এ কেমন '? অমল সোনালি রোদ চিবুকে ললাটে
ঝিকিমিকি বেলা বলে, 'কি চাও'?
পলাশের ক্ষুদ্র পাপড়িটি রোদ ঝিলমিল
জলে
টুপ করে ডুব দিয়ে ভেসে যেতে যেতে
বলে ,
কিছু চেয়েছিলে?
নিঝুম দুপুরে পাখি আসে
বালির ভিতরে ওলট পালট হয়।
ঠোঁট গুঁজে বসে থাকে নরম পালকে।
তারপর স্নান সারে , আদিগন্ত
স্নান।
বলে,
'আসতে পারো'।
আসা হয়না।
পাখি উড়ে যায়, ফুল
শুকিয়ে যায় ,
সূর্য অস্ত যায় , চাঁদ
ডুবে যায়
নদী তার হাত ,পা
, আঙুল গুটিয়ে নেয়।
বিসর্জন
ভিজে ভালবাসা তার জলছাপ রেখে গেছে
চৌকাঠে ,সিঁড়িতে
, মাদুরে।
চৌকাঠে দ্বিধাগ্রস্ত পা, সিঁড়িতে
গোপন পদপাত ,
মাদুরে আধশোয়া বসে থাকাগুলি
একে একে তুলে নিয়ে আঁচলে গিঁট দেয়
দত্তদের নতুন বউ।
বাইরে শরৎকাল
ঢাক বাজে
প্রতিমা এবার যাবে
চতুর্দোলায়।
পানপাত্র
কিছু তো ভরল না।
আকুল বর্ষণে
গাছটি এমাথা থেকে ওমাথা অবধি
নুয়ে নুয়ে বলে
পানপাত্র খালি রয়ে গেল।