বিকাশ চন্দ
পার্বণী হাওয়া
ইতিহাস রেখে গেছে নিখাদ সরীসৃপের
গল্প,
পাথুরে শরীর ভেঙে ঘরের ভতর নরম
আলো।
অথচ মধ্যবিত্ত জীবন বিবর্ণ ঘরের
অন্ধকার---
তুলতুলে কিছু স্পর্শসুখ অগ্নিপ্রহর
চেনা শরীর দুটো উজ্জ্বল চোখ
পূণ্যবতী জানে বিমুক্ত পাখির
ওড়াউড়ি
অত্যাচার ডানার ঝাপটানি অনবরত
হৃদয়ে হৃদয় জড়িয়ে উষ্ণতম
চন্দ্রবলয়।
না ডাকা দ্বন্দ্ব হঠাৎই লাফিয়ে ওঠে
ভাঙে অন্ধকার
কখনো বৃষ্টি ঝড় ওলটপালট গৃহস্থ
আলপনা
সংযমে বেড়ে ওঠে বিবেক যন্ত্রণা,
কোঁচড়ে লুকোনো প্রতিকথা অবাক
প্রতিধ্বনি
সকলই কি প্রাণময় মধুময় অস্পষ্ট
টুকরো কথা,
কোথায় বটবৃক্ষ পাষান শরীর আটকাল
বারোমাস
পাখিদের নিজস্ব কলতান রোদ বৃষ্টি
ঝড়
আহা! প্রভু, দুটো ঠোঁট ভাষাহীন মমতার
হাসি।
জলজ উদ্যান ভাঙে কটা হাঁস
দু’হাতে জড়িয়ে বুক
শালুকের ফুল,
অশরীরী বিশ্বাস কতবার দিয়েছে
আত্মবলিদান,
ছুটন্ত পায়ে জল মাটি একাকার
গার্হস্থ দাওয়ায়,
বুনো পখিদের সে কি গান পার্বণী
হাওয়ায়।
আলোভাষা
ফুলের সাথে জড়িয়ে আছে কাঁটার সহবাস,
আম কাঁঠাল গাছ গাছালি চেনা পথের
ধারে,
তেমন করেই দেওয়াল ঘেরা বিষন্ন
পরবাস
সংসারী মন থমকে দাঁড়ায় চেনা ঘরের
দ্বারে।
শুভ্রতায় সাহস ছিল ভয় ছিল তো চিতায়
সপ্তর্ষি তেমনই আছে চোখে আগুন
জ্বলে,
মুক্তধারার স্নিগ্ধ স্রোতে রক্ত
মেশে কি তায়---
ভেজা চোখে অচেনা সব ঘরের অকুস্থলে।
এ কেমন বিচ্ছিন্ন শরীরে প্রেমের
ক্ষমতা
কেনই বা এতোই বাঁধন মাটি গ্রাম
পাহাড়ে,
ফুলেফলে কতকাল ভালোমন্দে সখ্যতা
ক্লান্তিহীন চোখমুখ যন্ত্রণা মজ্জা
ও হাড়ে।
জাগরী সময় ডাকে প্রাকৃতিক ভালোবাসা
দু' চোখের স্রোত ভাঙে
বুকে যত আলোভাষা।
রূপান্তর কালের অপেক্ষায়
গচ্ছিত যা কিছু ব্যাংকে সে সব নাকি
তোমার,
শৈশব বোঝেনা তেমন বেপাত্তা যৌবন---
ঘূণ ধরা বাক্সে যা কিছু জানে প্রাণ
ভোমরা
উর্ধশ্বাসে উধাও বর্তমান আর অতীত,
পাঞ্জরের দু'ধারে
সৌভাগ্যের যতিচিহ্ন--
হৃদয়ের আয়ু খোঁজে বিন্যস্ত
প্রাণায়াম,
প্রবঞ্চনা বোঝার আগেই নষ্ট পরিচয়,
ছিন্নভিন্ন হে প্রবীণ মানবতা---
কতটা বোঝা গেল রক্তহীন গোপন
নাশকতা।
সহজিয়া উচ্চারণে মনের কথামালা
কী ভীষণ কারিগরি দক্ষতা খুঁজে ফেরে
সমুদ্র সেতু ইতিহাস ভূগোল বিজ্ঞান
দর্শন
নিষিদ্ধ মানুষের অস্তিত্ব বড় ম্লান বিবর্ণ নীলে
ফেরেনা রত্নাকর আর জীর্ণ অকুস্থলে,
বিরত থাকেনা ধ্বংস কালের মহিমায়
চতুর্দিকে প্রত্নঢিবি আমরা ক্রমশ
পাতাল গুহায়।
জাতগোত্রহীন প্রাণের পরতে বিশ্বাস
প্রতিভাসে
রূপান্তর কালের অপেক্ষায় আমরাও
পরবাসে।