শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০১৯

লক্ষ্মী কান্ত মণ্ডল


লক্ষ্মী কান্ত মণ্ডল

অস্থির উঠোন    

কুয়াশার অসমাপ্ত সিঁড়ি পার হলেই এক তুলসী ঝোপ।
 তার ভেতরে ঘুমিয়ে থাকা শূন্যের প্রার্থনা, স্কুল ফেরত
কোনো ছেলেকে সাইকেলে বসিয়ে বাড়ি নিয়ে যায় মা
 আমরা দুজনে হেঁটে যাই  ;   ছায়া রোদ আর বিষ্ণুপুর
এর পরেই আলোর রেখা -
কোনো জলাভূমি নেই, মাঠের গভীরে নির্জন গন্ধের রোদ
কলাগাছ আঁকা বিকেল উড়ে  হাওয়ায় হাওয়ায়
কিছু দৃশ্য সমেত নানা বর্ণের গান ছড়িয়ে পড়ে,  ছড়িয়ে
পড়ে হলুদ খাম  -  গত প্রজন্মের পর আগুনের এপারে
ঠিকুজিহীন দিগন্তের দিকে হেঁটে যাই -







কাঁটাঝোপের নগ্ন মুখ  

খালি কলসি হাতে ফিরে যাচ্ছে তারা, পেছনে স্বপ্নের
গায়ে সন্ধ্যা  - ছায়া হারিয়ে ফেলছে তালুরেখার ভাগ্যপথ,
জল নেই -  এমনই অন্ধকার চুঁইয়ে আসা চোখের আশপাশে
উঁকি মারছে নিতম্বগান ; বেহাগ চারণ - এঁকে যায় কাঁটা ঝোপের
নগ্নমুখ; আলো নেভার আগে খালি পায়ের চামড়া পিশে দেয়
মোরামের কর্কশ।  শূণ্য কলসিতে বাতাসের এক বাঁশিময় শব্দ,
তৃষ্ণার গুঢ় হাহাকারে সীমান্তের সবুজ পৌঁছে যাচ্ছে জলছবির
আলোয় --- বিমূঢ় দেবতার মতো বসে আছে মাটি চাঁদটা
গেরুয়া হতে হতে রটিয়ে দিচ্ছে উদাসীন সুবাস ; কদমফুলের---







শ্মশানের মৃত অনুরোধগুলি      

শ্মশানের মৃত অনুরোধগুলি যোগ দিতে চায় ছুটন্ত রাস্তার শিকড়ে, 
আর পঞ্চপল্লবের রাঙানো সিঁন্দুর থেকে ঝকঝকে রোদ ঝাঁপ দেয়
ক্ষতমুখ আস্থায়   -  এই নিয়ে প্রতিদিন অপেক্ষা ; দুপুর গড়িয়ে রাত,  
সেখানে আমিই কেবল জুগিয়ে যাচ্ছি জল - নদীর ব্যর্থতা থেকে
তুলে নিচ্ছি  জমাট পলি,  যদি চুম্বনে রাজি থাকে তবে
তামাটে চাঁদ ছুঁয়ে দেখি শান্ত খাল বিল,  গভীর চোখের নিচে
ক্রমাগত মৃত্যু সান্ত্বনার ডুব সাঁতার - কখনো রঙিন পোকা উড়ে যায়
মোহ'র আড়ালে - জানতাম নিজেকে খুঁজে পাওয়ার এই স্বপ্নেরা
পেরিয়ে যাবে মাঝরাত -