শর্মিষ্ঠা ঘোষ
এক
তোমার বিপন্নতায় কোথা থেকে শুরু
করব পাশে থাকার বার্তা ?
কোন সাংকেতিক ভাষ্যে লিখব সুদৃঢ়
অহংকার
মাথা উঁচু করে মানব ঢাল হতেও রাজী
!
যদি মনে হয় পথটি সোজাসুজি বিদ্ধ
করে অন্ধকার
পাশে আছি সাথে আছি আশংকা উদ্বিগ্ন
নিশ্চুপে সরবে
ভাষ্য অতিক্রমের পর সলিড কমরেডারি
হাতে হাতে
ডাকার আগেই আছি জেনে ফেলেছি আছি
পাশাপাশি
দূর্যোধন দুঃশাসনের গদা আর উরুর
অন্তবর্তী ইকুয়েশানে
দুই
কেউ কেউ মানুষ তো বটে
সেটুকুই বুকে ধরে বাঁচি
কেউ কেউ বাড়ায় তো হাত
তাদেরকে বন্ধু ডাকি
কেউ যদি না জাগে তো বেশ
কেউ কেউ জেগে আছে তো
তুমি নয় হাত তার ধর
তুমি নয় ঝাঁপ দিও কাজে
মাঝে মাঝে দিয়ে যেও ডাক
কেউ যদি শোনে তো শুনুক
ডাক শুনে কেউ যদি জোটে
এভাবেই জগৎ বাঁচে
কেন কেউ দিল না সাড়া
কেন কেউ নিন্দে রটায়
তুমি তাকে বয়ে যেতে দাও
তুমি যেও নিজের কাজে
তিন
নাকি তুই নদীর চেয়েও সোজা
নাকি তুই পলাশ শিমুল প্রেমিক
যদি তুই চিনতি আমায় তখন
জানি ঠিক মুখ ফিরিয়েই যেতি
নিছকই সাদায় কালোয় ছিলাম
ও আমার নোলক পরা বিষাদ
তোর বিরাগ কাছে ঘেঁষার
আমায় পর্ণমোচী ভেবে
আমার জলুস যতটুকুই
সেতো তোদের ঠিকরে পড়া
আলোর প্রিজমখানি ছুঁয়ে
আমি সামনে দাঁড়াই তোদের
চার
নিজের পিঠে নিজেই দু ঘা চাবুক
কষাই
কথার কষে রক্তস্নাত কথার
রোম্যান্স
এপথ সহজ এপথ পিছল বাটার ঘষে
ঘেন্না করি পদস্খলন হয়তো ছুঁল
আবার চেনা কথায় কাজে মন
ফেরানো
দুখিনী এই ঘরের গন্ধ কেবল
আমার
আবার আপন একার করে মগন থাকি
দূরের আলোর ঝলক ভালোই, আলগা
আদর
পাঁচ
বুঝি না সুখী কিনা তুই
নাকি খুবই কষ্টে আছিস
কিছু রঙ নিয়ে গেছে কেউ
মেহনতি কুড়ানো কাচানো
অভিনব দিই নি কিছুই
ছিল লেখা নসিবে আসবে
এই যা যা পেয়ে বসে আছি
দিলরুবা সেখানে বেজেছে
সবখানি সুন্দর চাই
তুলনীয় নয় কারো মুখ
তন্ত্রীতে বোবা ধরা গম্
ছিঁড়েকুটে বেগানা বনেছে