অনিন্দিতা
সেন
নতপলক
অনেকেই বলে
ভালবাসি
শূন্য আলোড়ন তোলে
কেউ কেউ,
কথাটার গভীরে না
গিয়েও
সামিল হয়
মিথ্যাচারে!
এমন ই এক শিউলি
ভেজা ভোর
উদাসী বাতাস আসে
দ্বারে,
শূন্যতার মাঝে
স্বপ্নে দেখা
চৌকাঠের এধারে
ওধারে।
অনুভূতির
সপ্তসুর...
জুঁই ফুলের গন্ধ
মাখে,
বুকের খোলা
প্রান্তরে
বাসাহীন ভালটুকু
থাকে।
চোরাগোপ্তা গোপন
গলিপথ
উপোসী গোধূলীর
আনাগোনা
বেদনা যখন ঘরবাড়ি
হয়...
নিরাপদ দূরত্ব
রাখে,
বিসস্ত্র এক
নতপলক
সামিল হয়
যন্ত্রনার পাখে!
নীরবতা
এই বেশ নিজের মত
থাকার
নিঃশব্দ আন্দোলন,
সবাইকে বুঝে
নেওয়ার পাশে
আত্মবিরামের
পরিচ্ছেদ!
সৌম্যবোধে
স্বপ্নে
এক সিন্দুক রত্ন
বাঁচিয়ে রাখা
নীরবতার ছন্দে
মিশিয়ে,
গাম্ভীর্য,
একাত্মতা।
এক পুকুর
অভিমান...
সহেনা...অতি
ভাষাময়তার দহন!
মুশকিল সফরে একা
এবং কয়েকজন!
বিচ্ছেদ
কখনো তো চাওনি
তুমি...
ফাগুন আমার গানে!
এমন করে তো
মাতাল... করোনি
ঝিমধরা বাতাসে,
চায়ের পেয়ালায়
চুমুকের মত
নির্ভার তোমার
স্পর্শ,
বুনো ফুলের
গন্ধের মত
নিঃশর্ত তোমার
সখ্য!
তবুও নদীখাতে
প্রবাহিত
অনাবশ্যক বিভেদ
আর্সেনিকে
ক্লেদাক্ত মন
নিয়ে যায় দূরে,
বহুদূরে
মাত্রাহীন
দ্বিধায় জড়িয়ে!
কখনো না ফেরার...
প্রতিশ্রুতি
মাখিয়ে!
কখনো তো চাওনি
তুমি
ফাগুন আমার গানে!