অভিজিৎ দাসকর্মকার
___এটা ইচ্ছে
মাঝে মাঝেই ঢুকে পড়ছিল এদিক ওদিক
চাউনি,
আর
কথাবার্তারা খাটের ঠিক ধারটিতেই___
বিভাজিত হচ্ছিল ব্যাসবাক্য সহ
দুজনের অ্যালবাম-
চোখের সম্মোহনে এগিয়ে চলে নিরহংকার
হলুদ সন্ধ্যা_
আমাকে এগিয়ে দে আরও একটু___
নিজেকে বহুব্রীহি সমাসে ভাঙবো, আর-
গোলার্ধ থেকে সমবেত কণ্ঠে চীর
ফাগুনের
অ-গুরু গন্ধ বেরিয়ে আসুক____
আমি আর তুই অভিসন্ধিহীন মুহূর্ত
সংগ্রহ করবোই
নিস্তরঙ্গ হাওয়ার আদুরে কোলে
বসিয়ে---
জীবনযাপনে ফিরবে চিল্কার জলছায়া-
অপেক্ষা করিস পূর্ণিমার পাশে
দাঁড়িয়ে__
বিশ্লেষণ করছে আমার একমাত্র আকর্ষণ---
একটি ঘটমান বর্তমান
নির্ধারিত কর্মসূচির বাইরে একটি
সন্ধ্যেবেলার সন্ধান করছে___
চুপি চুপি আমাকে সূচীছিদ্র করছে
ক্যালেন্ডারের গত শনিবারটি___
বিশ্লেষণ করছে আমার একমাত্র
আকর্ষণ---
ক্লীব লিঙ্গটি আস্তে আস্তে জড়তার
ইত্যাকারে ছুটছে___
পিছনে আলি আকবরও রয়েছে দেখছি ,
কিন্তু শোকসংগীতের প্রেক্ষাপট কেনো?__
আর
চলনরেখা ধরে সাদৃশ্য পাওয়া যাচ্ছে
অপ্রাসঙ্গিক গরমের---
তাই হয়তো
আমার প্যান্টের বেল্ট এবং চশমার
কাঁচ
নীলচে অবয়বে ডুবছে___
শূন্য ১টি বাস্তব মাধ্যম
আমাদের ফেলে আসা কবিতায়
নদীটিও গভীরে কেঁদেছিলো___
চিল্কা এখনও নিস্তরঙ্গ, সেকথা
জানে না---
বিজোড় সংখ্যার যোগফল
৭,৯, ১১
টানা বারান্দায় দাঁড়িয়ে-
বাঁ-হাতের ডাইরিতে ৫টি ভেজা দিনের
নস্টালজিয়া
আর
মাঝে মাঝেই ঢুকে পড়ছিল দুপুরের
চৈত্র-স্বপ্ন...
অদ্ভুত ভাবে গড়-গভীরতা মাপছিল
সংখ্যা গুলির দ্বিধাহীন পূর্ণচ্ছেদ___