শাহানারা ঝরনা
হায় বোঝেনা
সুখ মেলে দেয় চোখের পাতা নষ্ট
মানুষ বোঝে
না তা
বিবেকহীনের তপ্ত আগুন দেয় পুড়িয়ে
সুখের খাতা
মুক্তোদানায় স্বপ্ন গেঁথে ঘুরছে
যাঁরা দেশবিদেশে
লোভে মেতে তাঁরাও স্বভাব পাল্টে
ফেলে দিনেরশেষে
ঈশাণ কোণে কালোমেঘা বৈরি বাতাস দিচ্ছে দোলা
জল টলোমল সাগর নদী জ্ঞানপাপীরাও
আত্মভোলা
মঙ্গা কতো স্বপ্ন পোড়ায় সেটা কী আর
সবাই বোঝে
মন বাড়িতে দুষ্টু মানুষ অসংগতির
নকশা খোঁজে
বিষাদ ব্যথার হাত ধরে কেউ বিজন
রাতে একলা হাঁটে
হংসমিথুন ভাবনা দোলে স্বপ্নভরা
হৃদয় মাঠে
কাব্যগীতির উঠোনজুড়ে শব্দপ্রীতি
আকাশছোঁয়া
দুংখীজনের কি আছে আর আছে কেবল
সুন্নি দোয়া
অন্ধ চোখে বাপ মা কাঁদে বধির তবু
সন্তানেরা
পাষাণ যাঁরা হায় বোঝে না রক্তবাঁধন
যায় না ছেঁড়া,,!!
জীবনের জলছবি
কিশোরীর যৌবনা শরীর ছুঁয়ে
মাতাল যুধিষ্ঠির হাসে,
ধ্যানযোগী সন্ন্যাস নিয়ে
ছুটে যায় শ্মশানঘাটে
হায় হৃদয়! সেও মিশে যায়
সুতন্বীর বারোয়ারি ভাঁজে
কেউ তাকে বিরহ বলে,
কেউ বলে কবিতা প্রেম
যুগ্ম শব্দকোষের ভেতর
অধঃপতন ঘন্টা বাজলেই
মাধবী রাত কিংবা ফলসা দুপুরের
ক্রমোন্নতি নিয়ে,
পয়োমন্ত হয় জোড়াতালির সংসার।
উচ্ছসিত গগনমাঝিরা
শরীরের বিশেষত্ব বুঝে
পৌরাণিক গল্প বলে
বেড়ে যায় জলবৈঠার ছলাৎছল
আর জলোচ্ছ্বাসের উত্তাল নৃত্য।
মন হারায় সুদূর নীলিমায়,
মানমন্দিরে পড়ে থাকে ভাঙা
প্রসাদপাত্র
মাতৃস্নেহের আদিঅন্ত না জানা কোন
মূর্খ মানব
প্রেমিকার ঠোঁটে এঁকে আদর আবেশ
তাঁকে শোনায় যৌবনোদ্দীপ্ত জীবনের
গান।
আহা জীবন ---!!
ট্যাবলয়েড পত্রিকার মতো হয়তো টিকে
থাকে
নতুবা হারিয়ে যায় , দীনতায়
দুঃস্বপ্নের মিথস্ক্রিয়া নিয়ে
আবর্তিত হয় দৈনন্দিন ভাগ্য বিলাস।
পড়শি তোমাকে দেবো
পড়শিকুটুম তুমি কতোটুকু বোঝ
কেন বলো যেতে চাও দূর বহুদূরে?
ভুলের স্বর্গপুরে মনিমুক্তা খোঁজ
তাই কি বাজে না বাঁশি মায়াময়ী
সুরে!
চেয়ে দেখো চারিদিকে লুটেরা আঁধার
বিনাদোষে সাজা পায় নিরীহ মানুষ
আঘাতে ছিঁড়ে যায় ধ্রুপদী বীণাতার
লোভের আকাশে ওড়ে মিথ্যের ফানুশ।
খেলাপি ঋণের বোঝা দেবে কার কাঁধে
শুচির কণকরেণু ভেসে যায় জলে
নিথর ঋষি ওই নীরবে সুর সাধে
ধ্যানের নামতা কেউ পড়ে কোলাহলে।
আলোর কুঁড়িফুল
মগ্ন আজ থাক
ধ্যানরত কেউ দিক শুচিজল ঢেলে
মনন-মানবতা সুস্থ
হয়ে যাক
দীর্ঘায়ু হবো সুখ সাম্যতা পেলে ।
মনকথা যদি হয় সততার বাণী
যোগের মন্ত্র পড়ে এসো তবে কাছে
পড়শি তোমাকে দেবো সু-আসনখানি
মরুময় চেতনারা অমরতা যাচে।