শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০১৯

টিপ্লু বসু


টিপ্লু বসু

ত্রিভুজ ১

ত্রিভুজ ভালোবেসে কেউ কেউ
পাহাড়ের খুব কাছে চলে যায়
সরলবর্গীয় ত্রিভুজের সারি
আকাশের গায়ে সবুজ-ঘন
ত্রিভুজ কোণ ছুঁয়ে
পথ বেয়ে উঠে যায় চাকা
পাথরের আকৃতি ভেঙে
গুহাপথে নামে জলোচ্ছ্বাস
'জলকে চল' বলে উঠতেই
হেসে ওঠে অসংখ্য ত্রিকোণ
জ্যোৎস্নাগন্ধী চা-বলয়ের আড়ালে
জরায়ুরা গেঁথে নেয় পার্বতী-পরমেশ্বর
ত্রিভুজ-আসক্তি পাহাড়ের ঢালে
গড়িয়ে দেয় পুরোনো পাথর
আর ত্রিকোণ অভিলাষ ।







ত্রিভুজ ২

নদীপথে শিশুরাও যাতায়াত করে
তাদের শরীরের সুগন্ধে পারিজাত ফোটে
আজকাল নারকীয় কাদাজল
শুষে নেয় শিশুর সুঘ্রাণ
ছিন্নভিন্ন শিশুযোনি গতিপথ জুড়ে
জলের বিশ্রামে তখন ক্লান্ত পলিমাটি
ব-দ্বীপের বাহুদের কাছে
অবাক প্রশ্ন হয়ে থমকে দাঁড়ায়
পতিতালয়গুলি গৃহস্হের ঘরবাড়ি যেন
ভেসে আসে হুলুধ্বনি শঙ্খরব
সদ্যোজাত শিশুর চীৎকার।

      





সোনালী রোদ্দুর থেকে

বালকের দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছো
যেন মেঘ নেমে এলে
তুমি ভিজবে অঝোর
দূরান্ত থেকে সরিয়ে নিয়েছ দুই বাহু
লোধ্ররেণু মেখেছে যে ঠোঁট
তার প্রতি অনিমিখ
অনিঃশেষ যাত্রাপথ বরিষণে
বারিপাতে অমসৃণ
লীলাপদ্ম হাতে প্রতীক্ষায়
আছে জেনো আসন্ন শরৎ
হে বালক, কোনো একদিন
সোনালী রোদ্দুর থেকে
তুলে নিও নিজস্ব চুম্বনদিবস।