রনি অধিকারী
কবির ক্যানভাস
কবির হাত যেন জলের অক্টোপাস, নক্ষত্রের
নৃত্যকলা
সে রহস্যের চোখ জানালায় ভিড় করে...
বাতাসে অজস্র পেপিরাস ওড়ে,
কালির প্রলেপ পড়ে ধূসর খাতায়-
আজ কলমের অন্তরালে কবির অস্তিত্ব , হৃয়ের
হাত
অতঃপর কবির ক্যানভাস ।
ভাঙন-দহন
শিশিরে ভিজেছে বোধ নিরুত্তাপ জল
আবেগে জেগেছে চর বুকেতে অনল।
পাপ-তাপ মুছে যাক মিথ্যের মোড়ক
বোধের পাপড়িগুলো পুড়ুক কোরক।
আমূল বদলে নিয়ে জীবন-যাপন
আকাঙ্ক্ষার সিঁড়ি পথে ভাঙন-দহন।
আমার বিভ্রম
মাঝে মাঝে বড়ো ভুল হয়ে যায়
জল ভেবে আমি কাচ হাতে ছুঁই।
হাত কেটে যায় বুক কেটে যায়, রক্ত
ঝরে
তবু যেন চেয়ে থাকি অবিনাশী চোখে।
চারিদিকে শুধু রক্ত হাত-বুক-দেহে
অনিন্দ্রায় দিন যায় আমার বিভ্রমে।
স্বপ্নশিল্প-১
বেঁচে আছি আজো-
স্বপ্ন ভেঙে ভেঙে,
ঢেউ ভেঙে ভেঙে।
ক্লান্তি খায় ঘুম-
স্বপ্ন ভেঙে ভেঙে,
ঢেউ ভেঙে ভেঙে।
মাধবীলতার নীড়ে
সমুদ্রের সেই বীভৎস শরীর জলজ পাখির
সাথে এক সংযুক্ত সীমানা
নীল-নীলিমায় রঙধনু এঁকে দেয়, প্রগাঢ়
মায়াবী ঢেউ যেন ঝাঁঝর ঝরায়।
প্রভাত পায়রা অনাবিল খুঁজে ফেরে
বহুদিন... ক্রমাগত ঋতুরঙ-
বুকের নিবিড় ঘ্রাণ। পাখিগুলো
প্রমার প্রণয়ে ঝাঁপ দেয় মায়াবনে...
অতঃপর স্বস্তির স্নিগ্ধতা খুঁজে
পায় সেই মাধবীলতার নীড়ে।
আমি যাই যেতে হয়
আমি যাই যেতে হয়
পৃথিবীর প্রার্থনায়।
নিথর নির্জন নগ্ন নীরবতায়
আমি যাই যেতে হয়।