সুবীর সরকার
কনফেস
শিকারী বেড়ালের পাশে তাঁবু পেতে
বসি
আমাদের হাতে হাতে খেলনা বন্দুক
উড়ে যাওয়া পাখির ছায়ায় আস্ত এক
বলখেলার মাঠ
ডুবজলে ডুবে গিয়ে তুলে আনি
মাটিমাখা
বেহালা
ঝুড়ি ঝুড়ি বিলাপ ছড়িয়ে দেওয়া হবে
শহরে
ভাঙা তোরণের ওদিকটা একটু না হয়
ঘুরে
আসবে
তুমি
হলুদ কফের মত কষ্ট জমে থাকে
আমার কোনো খাদ্যতালিকা নেই
চাকু চালিয়ে দেব মরা মাছের গলায়
আমি ব্যাধের চোখের তারায় নিঃসঙ্গতা
দেখেছিলাম
সূর্যাস্তের হাটে এখন কোল্ড
ড্রিংকস খাচ্ছেন
সন্ন্যাসীরা
তীর ও ধনুকের সাথে আমার সম্পর্ক
আমি
অস্বীকার করি না
ব্রেড ও বাটারের সাথে আমার
তিক্ততাও
না
বারবার চলে আসছে ককফাইটের মোরগ
অন্ধকার রাস্তায় দাঁড়িয়ে আমি শুধু
কনফেস
করি-
'জানালায় পাখির ডাক
চোখের কাজলে বড়
মায়া'
ভাঙনের পর
পালকি থেকে পা নামছে।
সম্পর্ক ভেঙে যায় আর আমি পানশালার
সামনে ঘুরে বেড়াতে
থাকি
কোন কষ্টই আর ছুঁতে পারে না
অনন্ত এক জীবন আছে আমার
শুধু মনে রেখে দেব ভালো ভালো
গানগুলির
কথা
আমি এক পরাজিত পিতা
সন্তানকে আগলে রাখতে পারলাম
না
প্রতিটি অভিজ্ঞতার কাছে নুতন করে
শিখি
সম্পর্ক ভাঙে না,খুব
ভেতরে সম্পর্কটা কিন্তু
রয়েই যায়
তালপাতার ছায়ায় ছায়ায় আমাকে হেঁটে
যেতে
হবে
দ্যাখো,ভাঙন
থেকে বেরিয়ে আসছে
জাদু ও জ্যোৎস্না
আর পাখিমৃত্যু দিয়ে শুরু হচ্ছে দিন
আর শহরে ঢুকে পড়ছে পাখি
ও
সরাইখানা
এলিজি
একটা হেরে যাওয়া যুদ্ধ জেতার পর
হারিয়ে যাওয়া চুলের ফিতে খুঁজে
পাবার
পর
দু'পাক নেচে নিয়ে আমি
বৃষ্টির ভেতর ঢুকে
পড়ি
এখন আর চোখ মুছি না
সারি সারি সাজোয়া বাহিনী যুদ্ধের
দিকে
যায়
আমার হাহাকার মিশে থাকে মরা
বিকেলের
আলোয়
পাপী ও পাগলের মৃতদেহের পাশে কতবার
ছুটে
গেছি
ভুল মানুষের জন্য নির্মিত হয়েছে এই
আস্তাবল
মই ভেঙে যাবার পর কুর্ণিশগুলি ফিরে
আসতে
থাকে
আমার চোখের জল লবনহীন
বহু বছর আগে আমার ইন্টারভিউ নিতে
এসেছিল
জোনাকিরা
আমি যৌথ স্বপ্নের কথা বলেছিলাম
আমি হাঁসের পিঠে হসন্ত বসিয়ে
দিয়েছিলাম
আমি এপিটাফ লিখতে গিয়ে গ্লানি লিখে
ফেলেছিলাম
জীবনের শ্রেষ্ঠ শব্দের নাম
বন্ধুত্ব
জীবনের সেরা প্রাপ্তির নাম সম্পর্ক
জীবনের দীর্ঘতম বৃক্ষের নাম
বিশ্বাস
আমি অন্ধ হতে হতে পাখির গায়ের রং
ভুলে
গিয়েছিলাম
একটা তুলকালাম জীবনের কাছে তীব্র
ফিরে
এলাম
এখন গুহা,ঘাম
ও ঘুম পাশাপাশী সাজিয়ে
রাখি
বরফে ভেজানো রুমাল দিয়ে মুছতে থাকি
অন্ধকার