শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০১৯

এ কে এম আব্দুল্লাহ


এ কে এম আব্দুল্লাহ

জলের থিসিস

বুকের এই জায়গাটায় স্পর্শ করোনা। এখানে পাথরের আগুন। যে আগুন নেমে এসেছে পাহাড়ের ধার থেকে। আমার সম্মুখে এখন কালারফুল সমুদ্র। তার ঢেউ থেকে বেরিয়ে আসছে,ডলফিনের শিক্ষিত ঘাই।আমরা শিক্ষিত  ডলফিন নই।আমরা মানুষ।

স্বর্ণকেশি যে মেয়েটি ডলফিনকে শিক্ষিত করে তুলছে,তার পিচ্ছিলস্পর্শে এখন তারা কাঁপছে। ডলফিন আর মেয়েটি এখন পানির জন্য কাতরাচ্ছে।

আসুন,আমরা শামিয়ানা টাঙাই,আর জল নিয়ে একটি  রোমান্টিক থিসিস লিখি।









আমাদের গল্প

তোমার ঠোঁটের লালে ডুবে যাচ্ছে পৃথিবী এবং চুমোর গন্ধ। লালার ভেতরে নেমে যাচ্ছে পৃথিবীর সিঁড়ি পাতালের দিকে। যেভাবে  পাহাড় থেকে নেমে গেছে আদমের পদচিহ্ন।সেখান থেকে হয়ত আমরা আবার শুরু করব আমাদের গল্প।

এখানে অনেকেই আসে। কথা বলেঃ  অপারেশন টোয়লাইট, হিটব্যাক কিংবা অপারেশন ম্যাক্সিমাস সহ নানা বিষয় নিয়ে।


কলসি কাকে যুবতীরাও আসে। কিরণমালা শাড়ির আঁচল কোমরে প্যাচিয়ে - ডুবে যাওয়া সিঁড়িতে দাঁড়ায়। জল ভরে। তারা নিজেদের মধ্যে কথা-বার্তা বলে। আমাদের চারপাশে জলেরঢেউ সে কথাবার্তা লিখে রাখে তাদের বুকডায়রীতে। 

এভাবে একদিন পৃথিবী - ব্যার্থতার আঁচল গুটিয়ে ঢুকে পড়ে পুরোনো খাপের ভিতর।

তারপর, গাছের গুড়িতে যেভাবে গজিয়ে ওঠে নতুন গাছ ; আমরাও সেভাবে গজিয়ে ওঠি জলের ভিতর থেকে। সঙ্গে নিয়ে এক পৃথিবী নতুন গল্প।









কালো ভ্রমর

ব্রেসিয়ারের গোল্ডেন হুকে আটকে গেছে যে কালো ভ্রমর ; এখন সে ঘামের সমুদ্রে সাঁতার কাটে।এক নিঃশ্বাসে ডুবে থাকতে পারে যুগের পর যুগ।

আর এভাবে থাকতে থাকতে করোটির ভেতর থেকে কেউ খুলে নিয়ে গেলে ফিউজ। দৈনিক বাল্ব নিভে যায়। চোখের সম্মুখে নেমে আসে কালো পর্দা।আকাশ ভেঙে ঝরে পড়া নুপুরের ঝলকে কারও বুকে হয় জলবিলাস।

এই ফাঁকে কেউ কেউ কান পেতে শোনে, মাথার ভেতর নির্বোধ পোকার ধামাইল। আর কারও কারও চোখের উইন্ডো জুড়ে হয় - অশ্রুবিলাস।

এরপর,কেউ কেউ মাথাটা সবজির মতো ভরে নিয়ে যায় বাজারিব্যেগে।আর একদল মানুষ ডাইনিং টেবিলে বসে - সারা রাত সেদ্ধ করে সংবিধিবদ্ধ সতর্কীকরণ...