চিরঞ্জীব হালদার
প্রথম কবিতা
অনুভব সরণি দিয়ে যে রাস্তা সোজা চলে গেছে,
পালঙ্ক দেশের পাশ দিয়ে যে রাস্তা
সোজা দক্ষিনে,
বনমালি যে রাস্তা খরগোসের মত অনন্ত
সবু্জ,
কোন সরাইখানা ছাড়া এ রাস্তায় অন্ধ গায়কের গান,
পাখিদের ঠোঁট থেকে নেমে আসা
সাংসারিক উদ্ভিদ,
জঞ্জাল ভাটিতে ফেলে যাওয়া হৃদয়
কারিগরের আলো,
ক্যালেন্ডারের সমস্ত পাতা ওল্টানোর
পর
এক সাদা রাস্তায় কে বা কারা রেখে
গেছে
নিরবিচ্ছিন্ন ডানার সাংকেতিক লিপি
---
তুমি কি আখতারুজ্জামানের বন্ধু।
তুমি কি ইসমাইল মার্চেন্টের প্রথম
প্রেমিকার
বিলাসদ্রবের সরবরাহকারী ।
হে অদ্ভুত সরণি তুমি কি আমাকে দিয়ে
মিথ্যে লিখিয়ে নেবে।
তোমরা কি জানো কোন ঘরে
স্বর্নগোধিকা এসেছিলেন।
সব বকল্মাজনিত আত্মজ্ঞান
রামকৃষ্ণঘাট
পেরিয়ে তুলো ফলের বিকাল পেরিয়ে
চৌহদ্দি মর্মের অন্তস্থলে নিরুদ্দেশ।
তুমি কি আশ্চর্য্যের পেঁয়াজের শেষ
স্তরে
জেগে থাকা দহনকর্মের অবিনশ্বর
ছায়া।
হে অদ্ভুত সরণি তুমি আমকে দিয়ে
আর কত মিথ্যে লেখাবে।
দ্বিতীয় কবিতা
প্রতিটি অসফল অর্ন্তঘাতের পর
একজন কবি সাদা পৃষ্ঠায় হিমোগ্লোবিন
উগরে দেবে।
তার অস্পৃশ্য পান্ডুলিপির প্রতিটা
পাতা
উন্নাষিক আর খাই দাই পাঠকের ছুঁড়ে
দেওয়া
এক টাকার মত কোন বাউলের বুকে
ট্যারাব্যাঁকা সেফটিনের সাহচর্যে
পেরিয়ে যায় অচল স্টেশন।
পরিত্যক্ত ডুগডুগির অতীতচারী
বাঊলপনা
আর আলবোলা বান্ধবীরঙের কোন সকাল
আর কখনো আমাকে ঘুম থেকে ডেকে
বলবেন না তোমার সনেটে এত কম
খুনসুটি কেন।
হার্ড ডিক্স থেকে ডিলিট করা কুমারী
ম্যাসেজলিপি
দিয়ে বানানো ইনোভেটিভ আঁচল
এই শারদীয়ায় বুটিক প্রোমোটারের
দেহ রক্ষীদের আত্মকথা শোনাচ্ছে।
কবি তার অলৌকিক করতাল বাদক।
তৃতীয় কবিতা
১
কেমন থাকেন ঈর্ষাপরায়ণ আর অভিজাত
শয়তান।
এই বলে রমনীটি চলে গেলেন।
যে একটি আস্ত খামারবাড়ি ধারন করেন
গর্ভে।
তার থেকে মহতী ফুল আর কিই বা হতে
পারে।
২
ধিঙ্গিপনার লালা দিয়ে যে চেয়ার
জন্ম নিচ্ছেনা,
যে দরজার গায়ে কখন ও কুয়াসা মিথ্যে
বুজরুকি
ঢেলে দেয় না,
যে পাহাড়ের ভাঁজে কোন
চোরাগোপ্তা বিষ মেঘের আনাগোনা নেই
এই সব উপাদান এক তাবিজে ভরে
প্রেতমার্গের
ধ্যানবিন্দুতে ফেলে রাখার পর
খামারবতীকে
সনাক্তকরানের পথ প্রশস্ত হলো।
এখন ভেবে দেখা যায় আমরা প্রেমের
উপযুক্ত কিনা।
অথবা আমৃত্যু জীবনের মন্ড
প্রস্তুতির উষাকালে
আমরা ঢুকে পড়ি বাঘিনীর উষর গর্ভে।
৩
এমন এক খামার বাড়িতে চানক্য
আর মহামতি দ্বৈপায়ন জড়ো হয়েছেন।
ঘরে ঘরে যে ছবি গুলো ভাষার জন্ম
দিচ্ছে
তা আসলে ছায়ামাত্র।
এই সকল সংরক্ষন করবো বলে
ভোরের ঘুমন্ত শকট পাকড়ে
অষ্টাদশ শতাব্দীর মধ্যে ঢুকে পড়ে
কোন ছাড়পত্র ছাড়া জেনে নিচ্ছি
উর্দ্ধরেতা সিঁড়ির আত্মকাহিনি।