ইন্দিরা ব্যানার্জী
প্রজাপতি সুখ
আধ খানা চাঁদ টলোমলো ঘোর আঁধারের
বুকে;
পাখনা ছাড়াও প্রজাপতি সুখ তখন চোখে
মুখে
জন্নত কি? কোথায় জাহান্নাম? কে জানে
ঠিকানা?
কাঁচ দরজার আগল খুললেই, যেখানে অসীম
সেখানে সীমানা
স্বপ্ন বুনে বুনে আবাদ জমি, হাওয়া
পেলেই ভেজে;
অবেলা হলেও এলো তো সে, বহু প্রত্যাশিত
সে যে
কী হবে এবার, কোন মুখী স্রোত, জানুক
শুধু সময়;
প্রবাদী প্রতিধ্বনি কানে বাজে,
'যে সয় সে রয়/ যে রয় সে সয়'
খেলোয়াড়
বাইরে তুমুল বর্ষণ, ঘরময় ম ম অন্ধকার;
ছায়া-ছায়া দুই দেহ বেয়ে লাভা
শ্বাসের গতির সাথে সমানুপাতে স্রোত,
জটিলতার রহস্যেই বোধায় স্বাদ বাড়ে
মাংসের
একসময় ঘর বার উভয় শান্ত হলে,
চোখে পড়ে, ঢাল ধরে গড়িয়ে যাওয়া অঙ্গীকার
ছোঁয়াছুঁয়ি খেলার খেলোয়াড়রা,
কেউ কারুর নাম মনে রাখার তো দায়
নেয় না...
চোখ ও দৃষ্টিভঙ্গী
পথও কখনও কখনও প্রশ্নচিহ্নের মত
সামনে দাঁড়ায়;
সোজা তো নয় সরল হওয়া
পাঁকে পুঁতে যাওয়া পা নিয়েই,
সর্বাঙ্গীন হবার 'আকাশকুসুম' পেঁজা
ফাটা মেঘেরই মত
গমনে প্রস্তুত যে দিকে নিম্নচাপকক্ষ,
এই যে শরীর বন্ধনমুক্ত নির্ভার;
যেন বিকল্প হাতিয়ার
যে শীৎকার শুনে হু হু করে ওঠে মন,
সে যে নিয়তির বিরোধিতায় অক্লান্ত
প্রতিবাদ,
বোঝে না সুস্থ-স্বচ্ছ-সামাজিক চক্ষুযুগল।।