মঙ্গলবার, ২১ জানুয়ারী, ২০২০

সুখেন্দু ভট্টাচার্য্য


সুখেন্দু ভট্টাচার্য্য

হৃদয়ের একূল ওকূল

এখন হয়েছে রাত অন্ধকার চারিদিক থেকে
জানালাও খুব আলো বোঝে; সিলিং নিয়েছে কেড়ে 
আকাশের সব বৈভব।আমুতির চাঁদ এই দেহ
না ঘুমানো স্থির চোখ সারারাত কী জানি কী খোঁজে।

ক্যানভাসে ভেসে ওঠা অগণিত স্ফটিক কোলাজ
ধুলোময় শৈশব থেকে সাবালক স্বাধীনতা
কিশোরের একবুক ভ্যানগগ্‌ থেকে যৌবনের
একরাশ সেয়ানা সোনাঝুরি। গুটি গুটি পায়ে পায়ে। 

হাঁটতে হাঁটতে আজকের মরুময় মরুভূমি
সারাদিন জলের সন্ধানে। অন্বেষনে ফল্গুনদী
কয়েকটি গৃহপালিত ভেড়া ছাগল আর উটপাখি
লিবিয়া কিংবা আলজেরিয়ার বালিতে বালিতে ।

চারিদিকে ধুলিঝড়,তবু এ-মন এ-শরীর 
সারাদিন গম বার্লি খেজুরের সন্ধানে, 
যেখানে হ্রদ বা ছোটো নদীর অস্তিত্ব দুরুহ
গাজলা হরিণ হাতি জিরাফ অন্যান্য প্রানী ইতিহাস ।

ভাবনার সাতপাঁচে কখন জড়িয়ে ঘুম 
শরীরের শিথিলতা ভেঙে ভোর হয়ে আসে, 
সকালের পানযোগ্য জল,দুবেলা দুমুঠো অন্ন
বেঁচে থাকা মনে হয় আর অধিকার নয়।

স্বপ্ন জাগরণ থেকে জাগরণে স্বপ্ন,এক মেরু
মরুময় মরুভূমি মরীচিকা একুল-ওকুল। 
         





আনমনা

ব্যক্তিক সৌন্দর্য্যের কতশত নদী
কতকটা মানুষেরই মত
আলাদা আলাদা এবং একা
সবাই সব জানে,কেউ কিছু জানেনা
সাগরে না তার আগেই শেষ।
পথে পথে বিভ্রান্তিকর কিছু ফেনা
আষ্টেপৃষ্ঠে আমাদের আলোচনা
মুখে মুখে, গানে গান্‌, কাগজে কলমে,  
তবু ওই ব-দ্বীপ একাকীই থেকে যায়
মূলস্রোত থেকে ।

    




       
বিছুটি
       
এমনিতেই গায়ে লাল পিঁপড়ে উঠলে 
গা কুট কুট করে,
তুমি আবার লালমাটিতে ভালুক পুষছো
কী করে সহিষ্ণুতা ধরে রাখি বলো! 

ছোলা আমার হজম হয়না
তাই তোমার ঘোড়া কেনার গল্প শুনতে ভালোই লাগে
যাক্‌ আর নিশ্চয় ছোলা খেতে অনুরোধ করবেনা।