মঙ্গলবার, ২১ জানুয়ারী, ২০২০

কৃপাণ মৈত্র


কৃপাণ মৈত্র

ঘরটা অরণ্য ছিল
         
ঘরটা অরণ্য ছিল হয়ে গেল ফুল। বৃতি, দল,
পাপড়ির ছড়াছড়ি, তবুও কি যেন নেই।

ঘরটা অরণ্য ছিল হয়ে গেল পাখি। ডানায়
পৃথিবী জয়। শূন্যে শাখা-প্রশাখা মেলা  অন্য জগৎ ।

ঘরটা অরণ্য ছিল হয়ে গেল মাঠ। সবুজ সবুজ
কত প্রাণ। মেঘ, পাখি, ফুলের নিত্য আনাগোনা।

ঘরটা অরণ্য ছিল হয়ে গেল নদী। চঞ্চল গতি
প্রতি তট ছুঁয়ে। পাখি, ফুল মেঘেদের নিত্য অবগাহন।

ঘরটা অরণ‍্য ছিল হয়ে গেল ঘর। স্নেহ, মায়া-
মমতার আঁতুড়ঘর। পার্থিব অপার্থিব মেলবন্ধন।






              
ভাল্ লাগে না

সচল জীবনগুলো বিদায় নিলে আমার
একাকীত্ব গ্রাস করে নিয়ে যায় ভাল্ লাগেনার
গোপন গহ্বরে। খাঁ খাঁ করা বেঞ্চগুলো অসহায়
কালযাপনের ফাঁসে আটকে ছটফট করে দৃষ্টি
জানালা ছেড়ে। আধমোছা বোর্ডের ছবিগুলো
যেন ব্যঙ্গ করে। মেঝের  ধুলোগুলো স্থানু হয়ে
অসংখ্য পায়ের ঘায় চলমান হওয়ার অপেক্ষায়
ব‍্যথাসুখ বয়। ঘণ্টাটা কুঁজো হয়ে দেওয়ালে
ঠেস দিয়ে স্মৃতিরোমন্থনায়। নিত‍্যদিন হাজার
বাচালতার অবকাশ ক্লাস ঘরটার অসহায় দৃষ্টি
হা পিত্যেশ করে আবার একটা সোনালী ভোর
একটা গোলাপি সূর্য, হাজার তারা।






           
অসহিষ্ণুতা
          
অসহিষ্ণুতার অস্থিরতা এমনকি ফুলকে ও ব্রাত্য
করে অন্তরের আস্তানায় আবর্জনার
সুবাতাস লাগায় না। অদিনে কুহু ডেকে
পাতায় না মিতালি। রুক্ষতার
জীর্ণতায় প্রকাশ পায় আদিমতার
রক্তমাংসের স্বাদ। শিরায় বয়ে চলা
কোন উদ্ধত নদী হয়তো মরুতে
নিঃশেষ হয়ে হারাবে তার গতি।

অহংবোধের চূড়ায় শুধু ক্ষতবিক্ষত
প্রাপ্তির ভঙ্গুর পাহাড়। বিশ্বাসের নিত্য
টানাপোড়েন । অসহিষ্ণুতা বিবেক  বাধা
হয়ে দাঁড়ায় স্রোতস্বিনী বিশ্বাসের
প্রতি ধমনীতে ডেকে আনা হাজার
জিজ্ঞাসা দূরে সরিয়ে রেখে অন্তরায়।