তাপসকিরণ রায়
স্থান
জীবনের মাঝে কোন একটা স্থান ধরা থাকে--
পাটিগণিতের অঙ্ক বীজের মত
তাকে, এক, ধরে চলতে হয়।
আমাদের দুঃখগুলি সব মিলে একাধিক
হতে চায় !
সমীকরণের সিঁড়ি ভেঙে তুমি
তাকে শূন্যে নামিয়ে আনতে চাও।
বড় জেদি দুঃখগুলি তোমায় মিশে যেতে
চায়--
তুমি যেটুকু স্থান ঘিরে থাকো--
একের বাকী অংশে আমি বিরাজিত হই।
ভালবাসার ভগ্নাংশ নিয়ে তুমি আমি
জুড়ে থাকি,
একের পূর্ণতা তো হতেই পারে।
জীবন শেষে শূন্যতা কুড়িয়ে নিয়ে যেতে
চাই না--
আবার না হয় একটিবার, ‘ভালোবাসি’
বলো !
বৃক্ষের মত
প্রচন্ডভাবে আমি নিজেকে একান্তে
ধরে থাকি
বিবর্ণ পাতাগুলির ঝরে যাওয়া দেখি।
আমাদের এক একটা জাগা কত যে একাকীত্ব
ভরা !
নিজেকে খুলে দেওয়া আর হল না,
তোমার মাথায় হাত রেখে অঙ্গীকার
করা আর হল না--
কিছু কিছু অপেক্ষায়
ঠিক তেমনি ভাবে তোমার কাছে আর আসতে
পারেনি,
অভিমান ভেঙে যেতে যেতে
আসলে আমাদের জীবনটা শত প্রগলভতার
মাঝে
এক একটা বৃক্ষের মত, আমরা বড় একলা--
আমাদের কোলাহল এক জায়গায় থেমে
আছে--
তারই মাঝে একলা আমরা, বড় একলা।
জীবন
কখনও বিরল একটা জীবন ধরা থেকে যায়
নির্জনতায় ভুগে যেতে থাকা একটা জীবন--
জীবনের মাঝে কত না নাটক থেকে যায়
!
নাটক থেকেও কখনও জীবন উঠে আসতে পারে
ব্যতিক্রমী কথাগুলি খুলে ধরা যায়
না--
পাগল শব্দ থেকে উঠে আসে নানা রকম উপসর্গ।
কিছু বৈসাদৃশ্য চোখের মাঝে সন্দেহ
দানা বাঁধতে দেখি।
আমার গোপন চারিতা কোন নাটকেই তুলে
ধরা যাবে না।