মঙ্গলবার, ২১ জানুয়ারী, ২০২০

তাপসকিরণ রায়


তাপসকিরণ রায়

স্থান 

জীবনের মাঝে কোন একটা  স্থান ধরা থাকে--

পাটিগণিতের অঙ্ক বীজের মত

তাকে, এক, ধরে চলতে হয়।

আমাদের দুঃখগুলি সব মিলে একাধিক হতে চায় !

সমীকরণের সিঁড়ি ভেঙে তুমি

তাকে শূন্যে নামিয়ে আনতে চাও।

বড় জেদি দুঃখগুলি তোমায় মিশে যেতে চায়--

তুমি যেটুকু স্থান ঘিরে থাকো--

একের বাকী অংশে আমি বিরাজিত হই।

ভালবাসার ভগ্নাংশ নিয়ে তুমি আমি জুড়ে থাকি, 

একের পূর্ণতা তো হতেই পারে।

জীবন শেষে শূন্যতা কুড়িয়ে নিয়ে যেতে চাই না--

আবার না হয় একটিবার, ‘ভালোবাসি’ বলো !








বৃক্ষের মত 

প্রচন্ডভাবে আমি নিজেকে একান্তে ধরে থাকি

বিবর্ণ পাতাগুলির ঝরে যাওয়া দেখি। 

আমাদের এক একটা জাগা কত যে একাকীত্ব ভরা !

নিজেকে খুলে দেওয়া আর হল না,

তোমার মাথায় হাত রেখে অঙ্গীকার করা আর হল না--

কিছু কিছু অপেক্ষায়

ঠিক তেমনি ভাবে তোমার কাছে আর আসতে পারেনি,

অভিমান ভেঙে যেতে যেতে

আসলে আমাদের জীবনটা শত প্রগলভতার মাঝে

এক একটা বৃক্ষের মত, আমরা বড় একলা--

আমাদের কোলাহল এক জায়গায় থেমে আছে--

তারই মাঝে একলা আমরা, বড় একলা।







জীবন

কখনও বিরল একটা জীবন ধরা থেকে যায় 

নির্জনতায় ভুগে যেতে থাকা একটা জীবন--

জীবনের মাঝে কত না নাটক থেকে যায় !

নাটক থেকেও কখনও জীবন উঠে আসতে পারে

ব্যতিক্রমী কথাগুলি খুলে ধরা যায় না--

পাগল শব্দ থেকে উঠে আসে  নানা রকম উপসর্গ।

কিছু বৈসাদৃশ্য চোখের মাঝে সন্দেহ দানা বাঁধতে দেখি।

আমার গোপন চারিতা কোন নাটকেই তুলে ধরা যাবে না।