যাদব চৌধুরী
শব্দেরা
শব্দেরা কিলবিল করে অভিধানের পাতায়
তার অর্থ, ব্যুৎপত্তি ও বিবিধ ব্যবহার
নিয়ে
অভিধান যতো বড়ো ততো তার জলরাশি
নদী সাগর ছাড়িয়ে প্রশান্ত মহাসাগরের
ব্যাপ্তি
অনু নিয়ে খেলা সহজাত প্রবৃত্তি আদমের
খেলতে খেলতে ছোট অভিধান বড়ো অভিধানে
কাব্যের ঋণ থেকে যায় সূত্রের কাছে,
আবার
তার দৈন্যতার দিনে কাব্য সৃজন করে
শব্দমালা
শব্দেরা ভীষণ আগ্রাসী, স্বজাতিকে
আক্রমণ করে
আপন রঙে রাঙিয়ে নেয় অন্য সকল পরিবারকে
এই পথে কেউ মরে, কেউ সমৃদ্ধ হয়,
মরে গিয়েও
পরে ফের বেঁচে ওঠে কিছু প্রজাতি
উদ্দীপনায়
ব্রহ্মনাদে শিহরিত উজ্জীবিত সৃষ্টির
আঁচল
শব্দেরা কেঁদে ফেরে দরোজায় দরজায়
মেলে বারিধারা, রাশি রাশি উচ্চারণ
সার্জিক্যাল
মহাকাব্যিক থেকে অনুপথে যাত্রা শব্দের
কবির বয়স
কবির বয়স যতো যাক না বেড়ে
বনলতা সেন যায় না তাঁকে ছেড়ে
চোয়াল বসুক চামড়া ভাঙুক যতো
উপোস শরীরে কামুক কবি ততো l
এখন কবির হচ্ছে কেবল ভুল
হাতের তালুতে শুকায় গোলাপ ফুল
হিজল বনে অনেক লোকের ভিড়ে
হতাশ মনে কুয়াশারা যায় ভিড়ে l
সময় আঘাত ছুঁয়ে গেছে ক্ষণে ক্ষণে
বনলতা সেন বুড়ো হয়ে গেছে বনে
বয়স আজকে ষাটকে গিয়েছে ছেড়ে
উত্তাপ কমে বিকলতা দেহ জুড়ে l
জানলার কাঁচ ঘষে গেছে তাপে চাপে
মনের গভীরে তবু তার ছবি থাকে
খুঁজে ফিরে বন জুড়ে বনলতা সেন
বনলতা এখনও কবিকে আশ্রয় দেন l
অঘোষিত
এই হাতে ছুঁয়ে দিলাম তোমার আকাশ
আকাশ জুড়ে যতো মেঘ, তারারাজি
সবার সঙ্গে কথা হলো আজ l
তোমার ভালোবাসা, অভিমান
অঘোষিত বৃষ্টিপাত
ভেজা সার্সি বেয়ে আমার অনুভবে l
বোধের শিকড় ছুঁয়ে পল্লী জুড়ে টুকরো
সংলাপ
অপরিচয়ের গলিপথ ছেড়ে চেনা আঙিনায়
ফিনকি দিয়ে ভালোবাসার শিশিরপাত
নির্ঘুম আরেকটা দিন নীরব প্রতীক্ষায়
l