শংকর ব্রহ্ম
কবিতাকে আজকাল যেতে হবে
কবিতাকে আমি মুক্তাঞ্চলে নিয়ে যেতে
চাই
তাকেও চেনাতে চাই পথঘাট -
অন্ধগলি বেশ্যালয়, শুঁড়িখানা,
চোঁয়া ঢেকুরের
স্বাদ
পৃথিবীর গোপন আস্থানা, আঁস্তাকুঁড়
-
গৃহস্থের
ঘর
সব কিছু তাকে আজ চিনে নিতে হবে
জেনে নিতে হবে সেই খেলার নিয়ম
বুঝে নিতে হবে তাকে
শরীর ও মননের ভাজে ভাজে
কোথায় কি আছে, আর কোথায় কি নেই।
বাতসে কতটা ঘ্রাণ বারুদের
বাতাসে কতটা স্বাদ সোহাগের
দুপুরের নির্জন গন্ধ, কোন রমণীর
বুকের ভিতরে রয়ে গেছে কিনা?
কবিতাকে সেই সব জেনে নিতে হবে
আজকাল বুঝে নিতে হবে তাকে
কার বুকে কতখানি প্রেম
আর কার বুকে
কতখানি দীর্ঘশ্বাস জমা হয়ে আছে -
কবিতাকে
একবার মুক্তঞ্চল ঘুরে আসতে হবে
তাকেও চিনে নিতে হবে সব পথঘাট
জেনে নিতে হবে সেই খেলার নিয়ম
বুঝে নিতে হবে শুধু
কার বুকে কতখানি প্রেম
আর কার বুকে
কতখানি দীর্ঘশ্বাস জমা হয়ে আছে ।
মুখোমুখি
যখন তখন যাকে তাকে বলা যায় নাকি
ঘনিষ্ট উত্তাপের
কথা?
এমন জ্যোৎস্না রাত চরাচরে বাতাসও শীতল
কাছে নেই তুমি এ সব দুঃসহ লাগে খুব
এমন দুঃসহ দিনে শুয়ে আছি
হাসপাতালের বিধবা চাদরে
তোমার কথা ভাবতে ভাবতে
যে কখন নিজের অজান্তেই
অসুস্থতা কেটে যায় অনেকটাই
তোমাকে কাছে পাওয়ার তীব্র বাসনায়।
এমন চাঁদনি রাতে তুমি আমি পাশাপাশি বসে
পরস্পর মুখোমুখি
ঘনিষ্ট উত্তপের গল্পে
দুর্বিসহ রাতও অনায়াসে পার হয়ে যায়।
স্থিরচিত্র
থোকা থোকা মেঘ ঝুলে আছে আকাশের বুকে
নীচে সমুদ্র অস্থির
মেয়েটি তো বাকরুদ্ধ
ছেলেটিও নির্বাক
নীরব
এখন তো দেখারই সময় এমন গোধূলীবেলা
এখন কি কথা বলা যায়?
পরে এই নিয়ে ইনিয়ে বিনিয়ে কথা হবে কত।
স্মৃতিপুঞ্জ জমে জমে যেন
আকাশের বুকে মেঘ হয়ে ভাসে
বুকে সমুদ্র অস্থির যেন স্থিরচিত্র এক।