মঙ্গলবার, ২১ জানুয়ারী, ২০২০

শঙ্খ জ্যোতি মৈত্র


শঙ্খ জ্যোতি মৈত্র

বসতি

তুমিতো জলের মত স্থির।

বসতি তুলেছ গড়ে অনেকদিন হল

পঁচিশ বছর পেরিয়ে গেছে কবে

খেয়াল নেই দরজা তোমার খোলা

একফোটা রোদও পারেনি 

পেরোতে চৌকাঠ।


বৃষ্টি ধোয়া মাঠের ওপর ছড়িয়ে আছে

তোমার সমস্ত বিষাদ।বটের মতো ঝুরি হয়ে নামে

মাটিতে, ছুঁয়েছে আকাশ, নিশ্চল প্রান্তর

তুমি  কি চিনতে ওকে আগে?

সোনালী গীটার হাত ছুঁয়েছিল দিগন্ত রেখা।


বহু জন্মাতর বাদে বুড়ো নদী ভাসিয়ে দিয়েছে চর।

উৎকর্ণ হয়ে জেগে থাকে রাত, শতচ্ছিন্ন হতে হতে

শোনে শব্দ  ভাঙে মেঘ 

বসতির পায়ে জড়িয়ে আসে খাদ...







সময়

সময় থেমে থাক, সময়ের মতো।

যে মানুষটা দাহকাজ সেরে ফিরে গেছে

সমস্ত শহর  তার কাছে ঋণী।



কে দেবে বলো হলুদ পশম - শীতের আদর

দেওয়ালি পোকার মতো যন্ত্রণা ক্ষত

নিয়ে খেলা করে শবের বাজার।



দুজনেই হেঁটে যাও না বেঁধা কাঁটার মতো

ফোটা ফুল ঝরা পাতার মাঝে যেটুকু ফারাক

তোলা থাক হৃদয়ের যত জটিল কাগজ।



গাছের আড়ালে এসে বস, দিন শেষ, দিন শেষে

রাত্রি যাপন। সমস্ত পাতার নদী ঢাল বেয়ে নামে

ডাইনে ও বাঁয়ে মেঘ ভাঙা রোদের মতো

ছায়া ফেলে, আড় চোখে দেখে।।


 



তুই মেয়ে 

তোর জন্য মেয়ে, অনেক কাল পরে

নৌকার ছই বেঁধে  ভাসি।



বানভাসি কাল থেকে কফি বুক টেবিল এর

নিচে চাপা পরে আছে। মুখ খোলা বারন-

এখন এই কোন অজ্ঞাত কথা ফস্কে যাবে

দাঁতের ফাঁকে। বোঝনো মুশকিল,

তখন তোর মত মেয়ে কেন কাঁদে-কেন পশ্চিমের

চাঁদ উপছে পড়েছে গালে, নরম রোদ্দুর মাখা

আলো, কালো করে আকাশ বৃষ্টি নামে রোজ

তিন বেলা- বোঝান মুশকিল- দায় যখন

আমার তোকে পারানির কড়ি দিয়ে পার করে


ছই বাঁধি অনেক কাল পরে।।