শাহানারা ঝরনা
অন্তত একবার
তোমার নিষিদ্ধ কথারা এখনো
মনপুরে বেজে চলে রিনঝিন
কোলাহল থামলেই সুনসান নীরবতা প্রহর
পরিমেঘ ছায়া দেয় অস্তিত্বের আঙিনায়
প্রতি রাতে অলৌকিক আলোকরশ্মি
ছুঁয়ে দেয় দুটি চোখের পাতা।
তোমার প্রার্থনাবেদিতে ভাসে নিষ্পাপ
দৃশ্যাবলী
তুমি দেখো ভাইরাল হওয়া স্বপ্নের
জাগরণ
আমি দেখি মৃত ইচ্ছের এপিটাফ
বস্তুতঃ বেদুইন চাঁদও কখনো ওয়াদাখেলাপির
খেলায় মেতে জোছনাবধূকে রাখে হাতের
মুঠোয়,
মনোহরা সংস্কারের নামে কেউ, প্রতারণার
জলছবি আঁকে
জ্যামিতিক নকশার ভাঁজে গুঁজে দেয়
মন।
তৃষ্ণাতুর আবেগের ভেতর কী অবলীলায়
রক্তাক্ত হয় মানবিক দিন,,!
মনস্তাপ ছুঁয়ে থাকা কোন ধ্যানী সুশীল
পাপের কলামে লিখে আভ্যন্তরীণ গাল-গল্প
রাতারাতি হয়ে যায় সেলিব্রিটি গুণীজন
কোনকিছুই নির্মোহ নয় ---
ভাঙনের শব্দে মেতেই দাবাড়ু সময়
তোমার হাতে বাঁধে দায়িত্বজ্ঞানের
মাদুলি,
তুমি দাসপ্রথার নৈকট্যে গিয়ে আর যা-ই করো
নিজেকে ডুবিয়ো না নোংরাজলে
অন্তত একবার,,
দেখে নিয়ো জাতিসত্তার ভেতরের প্রচ্ছদ!
একদিন এই আমি
কিছু সময় মুগ্ধতায় ভরে থাকে চারপাশ
হৃদয়ে দোলা দেয় সম্মোহন বাঁশির সুর
কখনো কল্পনার রূপছায়ায় ভাসে চলমান
জীবন।
ফিরে তাকাই ভাঁজভাঙা অতীতের দিকে
যেখানে রূপোর আধূলির মতো চকচকে উঠোন
কৃষকের লাঙল জোয়াল,অযত্নে পড়ে থাকা
মাথার মাথালি,
আজো মনে করিয়ে দেয় খনাময় সেই মৌসুমি
শ্লোক,
কিছু সময় জীবন বিজ্ঞাপনী বিড়ম্বনার
মতো
মূল্যবোধ হারিয়ে যায়,, আনন্দ সাগরে
জাগে বিষাদের ঢেউ।
কেউ কেউ ভালোবাসার গীতবিতানে
সৌহার্দ্যের রিমিক্স শোনে
নাগরিক একাত্মতায় ভরে হৃদয় রাজমহল
আমিও আলোক মাধুরিতে ইচ্ছের পরিচর্যা
করি
পাললিক পরাণে রাখি আকুতির বিলাস
কিছু সময় এঁদো অলিগলি ঘুরে
মানবতার অপমৃত্যু দেখি
দেখি অসংগতির চিরাচরিত দৃশ্যপট।
প্রগতির সাথে হাঁটে গৃহমুখী ব্রহ্মচারী,
মানবতা পিষ্ট হয় সভ্যতার চাকায়
তবে কি আমাদের মনন মেধাবন শূন্য
এখন?
বিশ্বাসের পাসওয়ার্ড হারিয়ে স্বপ্নের
সেলফি তুলি
কর্পোরেট প্রতিযোগিতায় মেতে
আমিত্বকে বিক্রি করি প্রযুক্তির
পুঁজিবাজারে।
সময় বয়ে যায় --
একদিন এই আমি নিয়মতন্ত্রের গতিসীমা
ভেঙে
হারিয়ে যাই সীমাহীন সীমানায়
হৃদয়ের লোকজ আঙিনায় জমা থাকে না
কিছুই!!
ইচ্ছেটাকে ছুঁয়ে
হাত দু'খানা বাড়িয়ে দিলেই যদি
কেন আবার হলে দ্বিধান্বিত
সময় এবং দুঃসময়ের মাঝেই
অনেক কিছু হয় যে সুরভিত
সব হারানোর কষ্টগুলো নিয়ে
সবাই কি আর কাঁদতে পারে জোরে
আভিজাতিক সাধ বাসনাগুলো
বৈরি নীতির অবক্ষয়ে পোড়ে
দুইটি হাতের শক্তি অনেকখানি
সবাই সেটা জানি এবং মানি
মন ছুটে যায় কোন দূরে পরবাসে
দেয় বুঝি কেউ মায়াবী হাতছানি
মধ্যরাতের নীরব প্রহরজুড়ে
নিত্য বাড়ে অবাক ব্যাকুলতা
সুখভাসা দিন আগলে রেখেই কেহ
মনদেউলে সাজায় হাজারকথা
বিষন্নতার জল বিভাজন নিয়ে
বাউড়ি বাতাস স্বপ্ন ছড়ায় পথে
একলা জীবন নকশি সুতোয় বুনে
কেউ ছুটে যায় কালান্তরের রথে
হাত বাড়ালেই হয়না বনিবনা
হাতে তো নেই জাদুর জিয়নকাঠি
হাত বাড়ানোর ইচ্ছেটাকে ছুঁয়েই
মন কারো হয় শুদ্ধ পরিপাটি।