সঞ্জয়
চক্রবর্ত্তী
মানবিক
অমানবিক
এমন উদ্দিপ্ত
মানুষের চোখে ধ্বংস কতটা কাম্য?
ব্যঞ্জকে
শ্রোতা উপসর্গহীন, নীরব ।
অসম্মত
দন্ডিত নিরঙ্কুশ রাজতন্ত্র ।
অপারেশন
থিয়েটার কিংবা মর্গ,
কাটাকাটি
আর রক্তের খেলা ।
চোখের
চামড়া ছুঁয়ে মেঘলা মরণ চাঁদমুখ দেখে ।
তৎক্ষণাৎ
প্রতিক্রিয়ায় ভদ্রলোকের মতো সামাজিক হতে হয় ।
নিজের
জন্য নয় ।
মতিভ্রমে
শরীরের জ্যামিতি বাঁক নেয় বারবার ।
বাউল-ভিক্ষুক
ব্যবহার ।
অঝোর দুঃখস্মৃতি
একটা রক্তপাতের বিভ্রম,
মতিঝিলে
কর্ণিয়া,
দৃশ্যটা
অমানবিক, কাব্যের আঙিনায় অচ্ছুৎ ।
এমন অন্ধ
অযাচিত সমস্যা সাক্ষী হয়ে ওঠে,
দিবারাত্রি
নারী পুরুষের মৃত্যুমুখর পদযাত্রা ।
মনের পরাভূম
ব্যতিক্রম ত্রিমাত্রিক ।
বনস্পতি
এখানে পূর্ণ কম্পনের জল উৎস খোঁজে ।
চৌম্বক
আকর্ষণে বাঞ্ছনীয় বক্রতার স্পর্শতল ।
চাকভাঙা
সময়ের একক স্থির, মানবিক ।
সামাজিক
সূর্যে জ্বলেছে
বাকলবিহীন
স্মৃতিতে ত্রিরত্ন সাজানো অঙ্গুরী ।
তাল সুপারির
পত্রে ফিনিক্সের ঠোঁটের নীলাভ ঢেউ মৃদু ।
আগুনের
ভিজে ওঠা মহুয়ার নেশা,
বীজের
মতোই অসংখ্য হরিণী খিদে, কচি ঘাসে ঘাসে ।
নিরক্ত
যত ধবল
বাজ দুন্দুভি
অথবা কোলাজ সারি গান ।
যন্ত্রনা
আজ পাহাড় সমান ।
উলঙ্গ
সুন্দরে চুমু, যেন যৌনতা নেই ওতে ।
কী অতলান্ত
অভিসার, শরীরের নন্দন-রাতে ।
বিভাজনরেখা
উৎসবে পরকীয়া-লোভে একত্র হয়,
বকুল মাঝির
ঘরে একরত্তি কামনাটা তুলশী প্রদীপে নিভু নিভু,
কিছু বলো
তুমি প্রভু, জেগে ওঠো যদি কভু
নষ্ট ছেলেবেলার
গঙ্গামাটিতে ।
একটাই
প্রেম তবে পাশ্চাত্যের নিয়মে ।
পলল মাটিতে
যে-দেহ পড়ে থাকে,
তার দুর্গন্ধেও
ভিন রাজ্যের মাছি ভন-ভন ।
অশোকের
তলে বারবনিতার আলোকিত হৃদয় হরণ ।
দারুচিনি
বন থেকে আসা বেনেবউ জবাবের সামাজিক সূর্যে জ্বলেছে ।
মধ্যরাতের
আতরজান
আলতা মেখেছে
অর্থহীন ঘুঙুর নাচিয়ে ঘোরা দুই পায়ে ।
প্যান্ডোরার
বাক্সে কিছু নেই
এসো, তুলে
ধরো সুন্দরী কাঠের সেই এসরাজ ।
তোমার
পাপড়ি ইতিহাস
মেঘের
অজস্র কান্নাভেজা আওয়াজ লিখে রাখে ।
সেখানে
সভ্যতার ধুলো জমলেই সব স্তব্ধ ।
বর্মে
ঢাকা ধর্মের আয়োজন, তৃষিত গিরগিটি ।
ডোডো অথবা
অস্ট্রিচের মতো বিলুপ্তপ্রায় বর্তমান
ভেসে যাবে
।
খেলা অবশিষ্ট
রয়েছে এখনো, শূন্যস্থান খাঁ খাঁ ।
চিল শকুনের
ব-দ্বীপ বাহিনী জেগে উঠলেই পুরোদমে শুরু হবে ।
অন্ধকার
অনাথ, তার শেষ হওয়ার তো কিছু নেই ।
তুমি শিক্ষানবিশি,
শুধুই খাদ্য ছিনিয়ে নিতে শিখেছ ।
উত্তরে
বলবে : "বহু বৎসর খিদে নিয়ে বেঁচে আছি"।
জানি,
সব জানি ।
এখানে
গানের সুর ভেঙে টুকরো টুকরো করে তাদের লাইনে দাঁড় করাও ।
সাম্রাজ্যের
সাজানো ঘরটাকে দূর থেকে দেখো ।
ভুলে ভরা
চাঁদের অস্খলিত কোনো গর্ভ,
স্নায়ু
ছেঁড়া রক্তাক্ত নিথর আদিম জীবন ।
কচিহাতে
তোলা দায়িত্বের গোলাপটা বেঁচে থাকবে নিশ্চিত ।
এতটুকু
বুঝতে কী অনন্ত সময় চলে গেল ?
ওগো রূপ
সোহাগের মনুয়াপাখি,
আর কত
বোকামি মস্তিষ্কের শুকনো ঘিলুতে আগুন জ্বালবে ?
প্যান্ডোরার
বাক্সে কিছু নেই ।