অনুপম দাশশর্মা
গন্ডির বাধ্যবাধকতা
কানে কানে বলেছিল কথা
কথা ভেসে গেছে হাওয়াবদলের সাথে
পরিচয়হীন ধ্বনি বারবার
কড়া নাড়ে নৈঃশব্দের দুয়ারে।
কী বলি তাদের? কী বলি?
প্রতিশ্রুতির নিষ্পাপ চোখ ছলছলিয়ে
ওঠে
উপেক্ষার ভীড়ময় পথে একক পথিক আমি
দেখছি অধৈর্য্যর শেষ রোদন
দূরে মৃদু হাসছে দুটি সরলমনা মেয়ে
সাধ্য ও ব্যর্থতা ওরা পিঠোপিঠি
দুই বোন।
বাতিঘরে একাকী আমি
গোপন বিশ্বাসের পিঠে রেখেছি হাত
জানিনা কখন পেরোতে পারব
নক্ষত্রের ছায়াপথ
প্রতিদিন ধৈর্যের ফলকে চোখ রেখে
আমি দুরন্ত ঢেউ হয়ে উঠি
ভিতরে শরীর জ্বলে ছারখার
দেওয়ালে ধাক্কা খেয়ে ফিরে আসে ইচ্ছেরাগ
আঙুল তবুও প্রাচীন ওম
মন যেখানে স্বাভাবিক আচরণে অভ্যস্থ
আমি কে হে আহাম্মক
খুঁজে চলেছি আকাঙ্ক্ষার বাতিঘর।
সব ব্যথা গেলা যায়না
বেজে উঠল ফোন
কলার আইডিতে বুঝে নিলাম
ঠিক ছেলেটির পরিচিতি।
তিনতলা থেকে নেমে অফিসের
মেইন গেটের বাইরে
রোদে পোড়া তামাটে মুখের ছেলেটি
'তাড়াতাড়ি নিন স্যার, ১২টা বাজতে
তিন মিনিট বাকি
ঝাড় খাবো। সই করে দিন।'
নিলাম প্যাকেট। ছেলেটি ঢাউস ব্যাগ
ঝট্ করে
চাপাল নিজের পিঠে।
ওর শক্ত চোয়ালের কাছে অপরাধী হয়ে
থাকি
ওর বয়সে আমাকে পেরোতে হয়নি
রাজপথের ধুলোবালি।