শর্মিষ্ঠা মুখোপাধ্যায়
দূরত্ব
দূরত্বের চিৎকারে ঘুম ভেঙে যায়।
এখন।
আগুন চারিদিকে। শস্যক্ষেতে মাইক্রোফোন।
নগ্নতা নাকি মগ্নতা সে! সমুদ্র জানে।
ভুলভাল আমি জাগি, ইতিউতি জ্ঞানে!
ছায়া দূরে ঘন হয়। ঘুমোবার আগে।
অপেক্ষায় তার! আজও শীতরাত জাগে।
মনে পড়ে রাধাচূড়া! ন্যুব্জ নিসর্গ।
ভোরাই সবটা জানে। বিন্দুবিসর্গ।
অভিমান
শেষ বিকেলের দমকা উড়ো ঝড়ে
প্রাণ ভ'রে মন করছে ঝ'ড়ো স্নান
মেঘের বাড়ির প্রাচীন শহর ছুঁয়ে
দমকা হাওয়ায় পুড়ল' অভিমান!
আকাশ জুড়ে গোধূলির ওই আলোয়
তোমার ডাকে বাড়িয়ে রাখা হাতে
না বলাদের মুঠো খুলেই খুঁজি
সার্থবাহ সৃজন মুখর রাতে!
পড়শি দেখে ঘরভাঙা এক রেখা
বুকের মাঝে সুখের মাঝে নেমে
লালন জানে নির্মুক্তির ধাঁধা
উড়াল বোনে ইতিহাসের ফ্রেমে!
ভাঙতে ভাঙতে টুকরো টুকরো হয়ে
বিষের পাত্র হাতে বধ্যভূমে
মরতে দেখেই মিডিয়া ত্রস্তপায়ে
কমার্শিয়াল হয় সংখ্যা গুণে।
বেঁচে থাকা
ডাকে শোনো ফেরিওলা। ওড়ে নীল শাড়ি।
দূর থেকে পরিজন। চেনে ঘরবাড়ি!
সে চেনা কী চেনা হয়! কাছে না এলে!
আমারও তো কথা ছিল। শেষ বিকেলে।
পরিচয় পরিণতি। পাশাপাশি গ্রামে
চ্যাট করে কথা বলে। নিয়মিত ফোনে।
উপহাস রোজ পোড়ে। ঘুষঘুষে জ্বরে
তবু সোচ্চারে বেঁচে আছি। জ্বলে পুড়ে
ম'রে।