জারা সোমা
ছলাৎ ছলাৎ
নদীর কাছে গেলেই উথালপাথাল হৃদি
চোরাস্রোত টেনে নেয় গভীরে
দুরন্ত মুহূর্ত আঁকে জলছাপ
ঝিনুকের ঢাকনা খুললেই
বেসামালে ছিটকে যায় মোতি
যুবতী শরীর জুড়ে আসে বান
বাকিটা নদী-নারী-মন্থন
ছলাৎ ছলাৎ।।।
দ্বিচারিতা
ভালোবাসা বোঝাতে পারিনি বলেই
অস্থিরতা দাঁড় করিয়েছে গলির মোড়ে
হাতধরে হেঁটে যাচ্ছে যুগল
তাদের করতলে ফুটেছে পদ্ম
অসময়ী ঝড়ের রাতে গুনতে থাকি শ্বাস
নিজের হাতে বন্ধ করি জানলা-কপাট
শাসনছলে নিভিয়ে ফেলি নীলবাতি
জ্বর ও ঝড়ে বেজে ওঠে মেঘমল্লার
ভালোবাসা বোঝাতে পারিনি বলে
তুমি এভাবে চলে যাবে! যে সিঁথি ভরেছে
সোহাগে
উদ্যানে ফুটেছে ফুল সেখানে আর যাইহোক
মৃত্যু - সহবাসের দ্বিচারিতা নেই।।
শ্মশান
পরতে পরতে সাজিয়ে রাখা অধ্যায়
বিক্ষিপ্তভাবে পড়ে থাকে সাদাফুল
খবর পাঠাব বলেই উড়িয়ে ছিলাম মুঠো
খই
ধুলিকনায় মাখামাখি হয়ে এখন তারাও
খুঁজে নিয়েছে আশ্রয় ,
হেমন্তর মন কেমন হাওয়া উড়িয়ে
দেয় প্রতিশ্রুতি
নারকেল গাছের ফাঁক দিয়ে পড়ন্ত
সূর্য
জানায় বিদায়ী সম্ভাষণ
তুলসী মঞ্চ- আজানের সুর আগলে রাখি
বুকে
ফিরে যেতে যেতে ঘুরন্ত বাঁশ পাতায়
লিখে রাখি অব্যক্ত ইচ্ছে
প্রিয়মুখ,
শেষবেলায় চেয়েছিলাম
তোমার হাতের আঙুল স্পর্শে
আগুন ও শোকহীন অমরত্ব।।।।।