মানিক বৈরাগী
শীতবালা
আ হা এই মধ্যরাতে প্রতীক্ষায় থাকি
মুটোফোন খোলা রয় জেগে থাকে হৃদকর্ণ
খোলা চরে বিহঙ্গ রাতে কুয়াশা উৎসবে
আগুন পোহাতে নগ্নহাত টেনে, নিবিড়
ঝাউয়ে
নিশিতে গান্ধী শালে লতাবে উষ্ণ চুমায়।
এখানে কুয়াশারা মিহিনদানা, খেজুরের
গরম রসে
ভাপা পিটা, কালোবিনির দুচোয়ানি সাথে
কাঁকড়ার ঝুল
সারি সারি কুইশ্বল ক্ষেত, মাঝখানে
পাহারা চৌকি
কত নিশি জড়াজড়ি করে বিহঙ্গ রাত কেটেছে
আবেশ-আবেগে
আ হা মাঘরাতে কুইশ্বল চুষে পেচ্ছাব
ফেলেছো তচ্ছল্লায়
কেউ কি জানে, জেগে আছো শীতবালা?
এসো আবারো কৈশোর হই।
আগুনমুখী
আর কোন সত্য নেই আগুনমুখী তুমিই
ঈশ্বরী
হিমেল বুকে বহ্নিকণা ফোটাও, ফুলকি ছোটাও জোরসে
উদ্বায়ী তরল বাষ্পিত করো ধোঁয়ায়
বাঁকখালি চরে
এখানে চরম শীত শনফুলে এসেছি মধুকর
পাখনা মেলো মাধুকরী।
নাজিরার টেকে লালকাঁকড়া বালি শিল্পের
প্রতিরূপ দেখি তোমায়
কাছিমের ডিমে গঙ্গা কৈতর ওম দেয়,গোবাক
পাতার ছায়ায়
একবার এসো মাধুকরী প্রাণেশ্বরী হিমেল
হাওয়ার রাতে দারুণ উষ্ণতায়।
এখন আর কারো জিকির করি না, তুমিই
একমাত্র প্রার্থনা
মাঘের শীত
কুয়াশা ভেজা পাখি দারুন রূপবতি হয় মাঘে হাড় কাপানো শীতে।
তোমার পাখির রূপ জৌলুস মায়া খাসলত। এ ঢালে খুটে খাও, ও ঢালে বসে গাও অন্য মন্ত্রের
গান।
কুয়াশা ভেজা ভোরে মনের দেরাজে গভীর যত্নে তুলে রাখি কোকিলা
সুর।নবরূপে ফিরেছে গ্রামোফোন রেকর্ড। কতো যন্তর পন্তর সিডি,প্যান ড্রাইভ নামে।ওসব ডিক্সে
ডাউনলোড করে সেইভ করেছি শৈত্যপ্রবাহের ঝিরঝির সুর হাওয়ার মন্ত্র থেক।
কম্পুটারের হার্ড ডিক্সে কুয়াশার এন্টি ভাইরাসের ভার্সুয়াল
পর্দা সাজিয়েছি জানালায়। বড়ই আপসোস কবি মহাদেব
সাহার,ভোরের সূর্যোদয় দেখতে পায়না বিলাসী ঘুমের স্বভাবে। হাসান তীব্র দেহ যন্ত্রনা
কে ঘুষি মেরে উড়িয়ে দিয়ে মাঘের হীমেল হাওয়ায় প্রার্থনা করে সূর্যদেবের, কুয়াশা ভেজা
প্রভাতে হাসপাতালের ক্যাবিনের বারান্দায় বসে চা খায় সুরাইয়ার সাথে।
আমিও তোমার মতো নিশি জাগি কুয়াশা পোহাই,রবির কিরণে জাগি ভেজা
ঘাসেও কাঁতায়।