সামসুন্নাহার ফারুক
পৃথিবীর পথে
সময় বিলি কাটে স্মৃতির পাতায়
সুগন্ধী মূহুর্তগুলো হুটহাট ভিড়
করে
মনের জানালায়
পুরাতন রূপকথাগুলো বার বার
ফিরে ফিরে আসে
মানবতার ক্যানভাসে
জীবনের আঙ্গিনায়
বিশুদ্ধ প্রনোদনায়
কবি আকে উল্লাস
সঞ্চয়ী এ্যাকাউন্টে উষ্ণ কোলাহল
প্রজন্মের স্বাপ্নিক অধিবাসে
কারুময় ইন্দ্রজাল, জলরঙা ছবি
নিসর্গের জলসাঘরে বেজে ওঠে
ধ্রূপদী ঘুঙুর
ভরা পূর্ণিমার দারুণ সম্মোহনে
হাত ধরাধরি করে তুমি আমি
হেটে চলি পৃথিবীর পথে
হেটে চলি আকাশ গঙ্গায়
হেটে চলি নীল জোছনায়
সৃষ্টির অনিন্দিত ঈশারায়
আকন্ঠ নিমজ্জিত থাকি
ঈশ্বরের আলিঙ্গনে প্রেমম।
ধূসর গোধূলী
ধূসর গোধূলীতে নিসর্গের গুনগুনানী
মনোবনে বেঁচে থাকার ফুয়েল জোগালো
শরদিন্দু বলে উঠল, বড্ড বোকারে তুই
মাত্র তো কদিনের জন্য পৃথিবীতে আসা
নগ্ন পা ফেলে শিশির ভেজা চত্বরে
ঘুঙুর বাজিয়ে হেটে যাওয়া
নরম রোদের আলোয় স্নান সেরে
প্রজাপতি মুদ্রায় তোমাকে কাছে পাওয়া
এসব মূহুর্ত গুলো
কখনো ভোলা যায় বলো?
সূর্যাস্তের কাছাকাছি এসেও
তার চেয়ে চলো আবেগের দ্রাঘিমায়
শৌভিক সূর্য্যোদয় দেখি
ভোরের দীপিত আভায়
অপরূপ মুগ্ধতায়
হাত ধরাধরি করে
আদিম গন্ধমাখা রাজসিক পথে চলি
আলোর ঝিলিক মেখে প্রিয় সংলাপে
ফেলে আসা সময়ের গন্দমের কথা বলি
আমলকি শিরিষের বনে ইচ্ছে হলে
আগের মতন
তোবড়ানো গালে এঁকে দিও
প্রগাঢ় চুম্বন
প্রেমার্দ্র প্রণয়ের জলরঙা ছবি
সুরের পাখিরা সুখের নিউরণে
ছড়াবে লালিম আভা
ইথারে ইথারে ভেসে যাবে
জাদুকরী স্পর্শের তন্ময়তা
সপ্তবর্ণা আবীর মেখে
জোছনার রূপালী কিংখাবে
হংস মিথুন ভেসে যাব
জীবনের অবিনশ্বর কবিতা ।
স্পর্শ
এমনি এক বর্ষন ভেজা প্রাতে
উত্তপ্ত বাসনার তৃষ্ণা মেটাতে
টুসটুসে ওই ঠোঁটের ডগায়
বিবাগী মনটা ওম পেতে চায়
আগ্নেয় স্পর্শের সুখটুকু পেতে
টইটুম্বুর ইচ্ছের পেয়ালায়
অসম্ভবের পথটা মাড়িয়ে।