বিকাশ চন্দ
শস্য বরণ
অক্ষয় বোধে অনুভব ভাঙে গড়ে কেউ বা
মৌণ বিলাপ---
কাগজে কলমে উচ্ছ্বসিত কিছু আখর চিহ্ন
জন্ম মাটি,
দু'হাতে ছড়িয়েছি আমার চেনা অঙ্কুরিত
শস্য দানা---
একই অন্তর কাঁপছে দু'দিকে দোল খায়
রক্ত বর্ণ ফুল,
অতীত পাপের পশরা নেই উজ্জীবনের অন্ধ
লোক কথায়।
রাজারা ছিল না এখন জমেছে মৌতাত কালোরাতে
---
চেনা রাস্তায় হাঁটতে গেলে শৌখিন শর্ত জানে রাতের জোনাকি,
কেউ কাঁদে কেউ হাসে অদ্ভুত নেশায়
বুঁদ অন্তিম সময়ে---
স্নায়ু জগতে এখন জেগেছে অনাহূত শব্দ
সম্ভা,
দিন রাত রাত দিন স্থানকালহীন অবয়ব বুঝেছে নগ্ন কথা,
হা হা হেসে ওঠে উন্মত্ত উগ্র অচেনা
সময়---
আকাশ পাতাল খোঁজে সাংকেতিক উচ্ছিষ্ট
বর্ণমালা।
আহ্নিক সময়ের বাতাসে ভেসে যায় ঈশ্বরের
ডাক---
পোড়া বাড়ি পোড়া দিন জানে বিলীন জন্মান্তর
কথা,
যা কিছু গিলে খেয়েছে অকাল সমুদ্র
ঢেউ।
অভিমানে অঝোর বৃষ্টি লিখে যায় নবজন্ম
সৌন্দর্য অভিমান---
তৃষ্ণার্ত শরীরে টুকরো শস্য কণা
জানে নারী ফসল সম্ভবা,
অযোনি জন্ম বলয় টানে বিনীত অক্ষর
কথা মালা---
দিব্যি আঁকড়ে বসে আছি পাশাপাশি সকল
আত্মজন,
অনির্বচনীয় ভালোবাসা সকল হৃদয়ে নম্র
শস্য বরণ।
ধ্বনিময় প্রতি কথা
স্বাগত সুখের সম্ভার অলীক অজুহাত
আবেষ্টন দুই দিকে সামনে হাত তোলা
বহুধা
খর শান তলোয়ার সারি সমুন্নত বদান্যতা
জীবনের কাছে
দিব্যি বেচা কেনা মগজ মাদুলি ত্রিশূল
লকেট মুড়ি মিছরি সব
স্মিত হাসি সুর আবহে জল ছল ছল বিহ্বল
প্রসন্নতা।
জেগে থাকে রাত জোনাকি পুড়ে যায় পাড়া
ঘর সংসার---
ধোঁয়ার কুন্ডলী জানে মসৃণ আগুনের
মায়া বিলাস,
ব্যক্তিগত ধ্বংস প্রতিদিন হৃদয়ে
বীজের বিশ্বাস,
জেগে থাকে অঙ্কুর শিকড় যা কিছু সত্যি
আবরণ---
প্রতিদিন খসে পড়ে ছিন্নভিন্ন শরীর
ধর্মকথা
কতটা প্রাণের টান কতটা যন্ত্রণায়
মুক্তি হীন দীর্ণ নাভিশ্বাস।
দিনের চেনা এদেশের সব বদলে যায় বসবাস
নগ্ন অন্ধকারে---
রক্ত মাংস জন্ম নাড়ি ছেঁড়া চিৎকার
নিরুদ্দিষ্ট নবজন্ম সুখ,
শেকড় বাকড় বর্নহীন ধর্ম কথা পার্বণী ফুলের প্রিয় পসরা---
হাওয়া বৃষ্টি জলে ভাসে চেনা মুখ
সন্তান সন্ততি নিজস্ব ঠিকানা,
যা কিছু দু'চোখে দেখা কেন তবু ভুল অঞ্জলি ঢালো হে সম্প্রতি।
বহতা নদী জল মোহনা ভেঙেছে বারংবার
জল সইতে গেলে---
চড়ুই শালিক ঘুঘু ডাকে চেনা স্বরে
দুপুরের সংসারী রোদে,
ধ্বনিময় প্রতি কথা মা বাবার মতো ঘিরে থাকে যদি মেলে---
ছুঁতে গেলে খসে পড়ে সমূহ বর্ণমালা
দূরে ঠেলে অবিনাশী ক্রোধে।
অনুভব জাগে প্রত্যয়ে
যা ছিলনা তাই হলো অসহ্য ধারাপাতে---
আবারও কি দুর্যোগ নিষিদ্ধ সময় হাঁটা
চলা
রূদ্ধ অভিলাষ আলো নীল বরফ চাদর
পাশাপাশি বসবাস অমলিন ভালোবাসা,
হহঠাৎই ঠিকানা হীন পাখিদের কলতান
কাকভোরে,
ঋতুকাল রঙ বদলায় আকাশ মাটি পাহাড়
স্বর্গীয় মহিমা জন্মসূত্রে ছন্দোবদ্ধ
এখন মন্দ অনুসঙ্গে---
কেমন হাড় হিম রুদ্ধ অক্ষর জীবন উড়ে
যায় হিমেল হাওয়ায়।
নদী জল মাটি শ্বেত বরফের চাদর স্থীর
অভিমানে---
বিবর্ন মনান্তর জানে ভেসে আসে সমতলে
ভূস্বর্গের গান,
আরক্ত হৃদয়ের কথকতা নাকি মাতৃবিয়োগ
ভাষা---
প্রাণেপ্রাণ একাত্ম সময়ে হয়তো বা
ছিল পোড়া মাটি ঘ্রাণ,
জীবন ও কখনও ফেরিওয়ালা অচেনা প্রতিবেশী
সংসার----
অন্ধকার কুণ্ডলী কেটে যাবে একদিন
আলো মানুষের দাওয়ায়,
কোঁচড়ে ভরে ওঠে ফুলের আখরে সকল রোদসী
বাগান---
অচেনা সময় জেগে ওঠে চরাচর আলো মাখে
সন্তান সন্ততি।
প্রত্যাশিত সঙ্গীত শুনে ছুটে আসে
ঐ আলোময় অন্তিম সময়---
অবিন্যস্ত তৃষ্ণার্ত হাওয়া খুঁজে
ফেরে জলজ জীবন আশ্চর্য্য মেঘে,
দীর্ঘজীবি একান্ত আত্মিক ঘর কন্না
কেউ নয় পরবাসী প্রাণময়---
ইতিহাস থমকে দাঁড়ালে হয়ে যায় তীর্থক্ষেত্র
হার্দিক অনুভবে।