গৌতম কুমার গুপ্ত
প্রস্রবণ
বুকের উষ্ণ প্রস্রবণে মিশিয়ে দিই
কিছুটা ঘৃত লাঘবের তরল
লাগাম হাতে নিয়ে ছুটে আসে তৎক্ষণাৎ
এক একজন ঘোড়সওয়ার
এতো যে উন্মাদ পথের প্রচলন কে জানতো
তখনই যুদ্ধ মেশাই প্রবণতায়
দিগ্বিদিক ঘোর লাগে চোখে
দৃষ্টিতে যথেষ্ট স্বচ্ছ কাঁচ ছিল
দূরবীণে
আনন্দের বহুব্রীহি ছিল স্বপ্নে
বিমিশ্র সুখের কাছে মোলায়েম ছিল
আঁচড়
নির্বিষ হতে পারলো না জিহ্বার উদোম
রসনা
লালা ঝরে আর লুকোই নিজেকে
এ তমসা কোথায় নির্বাপণ করি বলো
এতো প্রশস্ত দীঘি পূরণের জল পাই
কোথায়?
দু হাতে ঘৃণা মেখে নিই নিদ্রামোহিনীকে
জাগাই
এই বেলা ঘুম দাও স্বাস্থ্যসম্মত
বর্ম বেঁধেও বুকে
যাত্রাপথের হদিশ ছন্নছাড়া হয় যে
কে তুমি
পীতাভ সন্ধ্যায় কে তুমি আলো হাতে?
আমি তো বুদ্বুদ জল বায়বীয় মাত্র
নিভু জ্যোৎস্নায়
তবু দেখি আলোলিকা আকাশ নিকট দূরত্বে
বলামাত্র জ্বেলে দিলে নক্ষত্র পুরুষ
চমকিত হলাম আমিই কি সেই নগন্য প্রবর!
অগত্যা স্মৃতিকে ভাসিয়ে দিলাম জলে
তুচ্ছ কাগজের নৌকোয় ভাসমান অস্তিত্ব
আজ থেকে বুঝলাম
কোথাও যেন আমার ছায়াগন্ধ আছে
বুদ্বুদ অথবা বায়বীয় নয়,
ভাসমান কাগজের নৌকোয় নয়
এক টলটলে দীঘির নিপুণ জলের আধারে
আমার একক স্থায়িত্ব
আমাতেই আমি আছি নর্ম আর্দ্রতায়
শীত সংখ্যা
একটি শীত সংখ্যার জ্বালানী।জ্বলবে বলে আসছে পাখিটিও।চেনা
ডানার কাঠখড়ে হিমবন্ত শীতল।বরফ ছুঁয়ে নেমে আসবে প্রাণবন্ত লেপরাত্তির।কবোষ্ণ ওম থেকে
ঝরে পড়বে নববধূজনিত প্রেমরোগ।
প্রাকবার্ধক্যের ইচ্ছে অনিচ্ছেরহিত পাশবালিশটি ওমরুদ্ধ থাকে
জড়তায়।কার্বন অন্ধকার অচেনা লাগে।একটি প্রাতর্ভ্রমণের অপেক্ষায় জড়িয়ে আছে অমোঘ আলস্য।ওই
কালরাত্রিটি নাতিদীর্ঘ হলে হয়।
এরপর কেউ কথা বলবে না।অথবা বলবে। দু একটি পাখিদের সাথে নীতিবাগীশ
সবজান্তা।যুদ্ধ চলতে থাকবে শীতার্ত মনোমালিন্যে।এক পা দু পা অজস্র পা..... শীত আসবে..মানুষেরা
শীতল হবে.....অনন্তকাল.. হিমযুগ ধরে ধরে.....