কার্তিক ঢক্
আঁশবটির যাপন চিত্র
সিঁথিজলের
সিমান্তরেখায় দাঁড়িয়ে আছে
মেঘলা রঙের আকাশ-
রাধাও তো তাই...
অবাধ্য বাঁশিটি বেজে
যায় প্যাটাগোনিয়ান তীরে -
কৃষ্ণ হ'তে পারেনি!
মাঝে মাঝে আলো এসে
পড়ছে
বোতাম খোলা জানালার
অন্তর্বাহী জলে-
তাকে আমার ফুড়ুৎ
রঙের চড়ুই পাখি মনে হয়!
কার্ণিশভেজা গোধূলি
চুঁইয়ে পড়ছে
নায়াগ্রার শব্দে !
ঘরের ভিতর সন্ধ্যার
অন্ধকার --
কার্বোলিক আলো!
শরীরকেই প্রশ্রয়
দিয়েছি বেশি
তাই কি আঁশবটিটির
উপোসযাপন চিত্র...
কলঘরের বিছানা
আত্মহত্যায় রসনা
রেখেছি
নাভীকুন্ডে ঝাঁপ
দেবো--
আগুন জ্বালো, আরো আগুন
ঘি'য়ের সম্মতি দিলাম...
শাড়িদাগ খ'সে যাওয়া পিচ্ছল
ঘাটের উদারতায়-
স্নানজল বাড়ুক।
নীল রং ভাসছে কলঘরের
বিছানায়
শাওয়ারখোলা
ভালোবাসায়
কর্পূর হচ্ছে ব্লাউজ
পেটিকোট...
প্রেম নয়!
শরীর গন্ধে আমার
আত্মহত্যা পাচ্ছে-
নাভীকুন্ডের আগল খোলো...
সোনালি মাছের
হৃৎপিণ্ড
যখনি একলা হতে
চেয়েছি খিড়কি সার্টার খুলে
বাইফোকালি রূপালি
মাছিরা
হলুদ হয়ে ঘিরে ধরেছে
চম্পট-রেখা...
বয়ে যাওয়া তরলের গান
মনে আসে
হরিৎ পিয়ানো মনে আসে
লাইন দিয়ে দাঁড়িয়ে
থাকা এমনই
কতো আগ্নেয়গিরির
ছ্যাঁকারা!
আগল খোলা পাখিটির
পালকে বন্দিদশা
নীল রং উপছে পড়ছে
ঘুমের সমুদ্র সঙ্গমে
সাঁতার শব্দটি ভুলে
গেছে
সোনালি মাছের
হৃৎপিণ্ড!
পালতোলা নৌকাটি
উজানঘাটের মাঝি খুঁজছে
পারের কড়ি হাতে
নিয়ে...