অনুপম দাশশর্মা
আড়বাঁশি
কেমন লাগে যখন
প্রিয়জন অচেতন
হঠাৎ ধেয়ে আসা
নিষ্ঠুর বাতাসের ঘায়ে?
আছড়ে পড়ে বিষণ্ণ মুখ
প্রলাপধ্বনিতে।
নিশ্চিত বাস তো শুধু
টলটলে জল নয়
তার তলদেশে বয় ব্যাথাপোকার
আ্যমিবা
নীরব উল্লাসে।
যে স্রোতে ঢাকা পড়ে
যায় স্বেচ্ছাচারিতার
নিশ্চিত ক্ষয়রোগ
সেখানে প্রকৃতি
পাঠায় অদৃশ্য পেয়াদা
সমকাল হচ্ছে সাক্ষী।
ভিতরে কাটাছেঁড়ার
প্রক্রিয়া সমাপ্ত হলে
হাতে তুলে নিও সংযত
জীবনপ্রবাহের
বিশুদ্ধ আড়বাঁশি।
চুরি
যদি চুরি করে নিই
সমস্ত কবিতা?
কহিল পাঠিকা।
বলি নাও। আর মনে মনে
ভাবিলাম
আরেকটি কবিতার জন্ম
দিলে যে
হে সুজাতা!
তোমার আর আমার মধ্যে
ঠিক
কীসের বন্ধন?
সুজাতা অপলক
দৃষ্টিতে মোহময়ী
বুকের ভেতরে বহে
সমুদ্র বাতাস
যেন সে-ও সহকামী।
এই বিধুরবসন্তে শব্দ
মিশে থাকে নিরুচ্চারে
বাহিরে রাধাকৃষ্ণের
মন্দির
বসিলাম সুজাতার পাশ
ঘেঁষে আহারে।
সংযোগ
থরে থরে সাজানো আছে
পাত্র,
উৎসবের।
তুমি ধরে দেখতেই
পারো কোনটিতে
রোদের রং গাঢ়
কিংবা ঝুঁকে দ্যাখো
নীচে কোথাও পড়ে আছে কী
শব্দের পোড়া ছাই
তবে সে পথ মারিওনা
মোটেই
ধীরে ধীরে মঞ্চে
উঠবার আগে আসনে
রেখে যেও ক্ষতচিহ্ন
আঁকা সতীর্থদের
বিষণ্ণ মুখ
উৎসব সমাপ্তির পরে
বাইরে এসে দেখবে
রঙিন মোড়ক ছেড়ে উড়ে
গেছে
সাধনার শ্বেতপদ্ম, কবিতার চোখে অচেনা
জলরাশি।